প্রথম মাসে টোল আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে পারেনি বঙ্গবন্ধু টানেল

0
96

বঙ্গবন্ধু টানেল চালুর একমাসে যানবাহন চলাচল ছুঁতে পারেনি লক্ষ্যমাত্রা। কর্মদিবসে যে সংখ্যা এখন প্রতিদিন ৫ থেকে ৭ হাজার, ছুটির দিনে তা পৌঁছায় ১০ থেকে ১২ হাজারে। যার বেশিরভাগই দর্শনার্থীর গাড়ি।

টানেল ঘিরে এলাকাবাসীর জীবনমান উন্নয়নের যে কর্মযজ্ঞের কথা বলা হয়েছিল, তা দ্রুত শুরু করার দাবি স্থানীয়দের। এজন্য পরিকল্পিত নগরায়ন, শিল্পায়ন ও যোগাযোগে মনোযোগ দেয়ার তাগিদ বিশ্লেষকদের।

গত ২৮ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধু টানেলের দুয়ার খোলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।

সেতু বিভাগের পূর্বাভাস ছিল, চালুর পর প্রথমমাসে দিনে টানেল পার হবে ১৭ হাজার ৩শ গাড়ি। তবে গেল এক মাসে সে সংখ্যা ছুঁতে না পারলেও এখন পর্যন্ত ১০ থেকে ১২ হাজারে উঠেছে। যদিও তা ছুটির দিনে। কর্মদিবসে পারাপার হয় ৫ থেকে ৭ হাজার।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের টোল সুপারভাইজার মো. আল মামুন বলেন, টোল চালু হওয়ার পর থেকে গাড়ির চাপ দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। শুক্রবারে গাড়ির চাপ বেশি থাকে। ওইদিন ১০ থেকে ১২ হাজার গাড়ি চলাচল করে। অন্যান্য দিন ৭ থেকে ৮ হাজার গাড়ি চলাচল করে।

৩ দশমিক কিলোমিটার দীর্ঘ বঙ্গবন্ধু টানেলের এখন সরাসরি সুফল পাচ্ছে আনোয়ারাসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষ। তাদের যাতায়াত হয়েছে সহজ। তবে পুরোপুরি সুফল পেতে অর্থনৈতিক কর্মযজ্ঞ বাড়ানোর তাগিদ স্থানীয়দের।

সাংবাদিক ইমরান বিন সবুর বলেন, যদি ইকোনোমি অ্যাক্টিভিটি বাড়ানো না হয় তাহলে আমার মনে হয় এটা কমবে। কারণ, যারা টানেলে আসছে তাদের অধিকাংশই দর্শনার্থীর মতো বলা যায়। সারাদেশের প্রথম টানেল এটা দেখার জন্য তারা এসেছে।

আনোয়ারা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোসলেহ উদ্দিন সিরাজি বলেন, অনেক অনেক ফ্যাক্টরি হবে। হাজার হাজার শ্রমিক বা কর্মকর্তাদের এখানে চাকরি হবে। সে ক্ষেত্রে এখানে বন্দর দিয়ে অনেক পণ্য উঠানামা হবে। এদিকে যাতায়াত হবে। এটি কিন্তু অপেক্ষা করতে হবে।

বিশ্লেষকদের মতে, ওয়ান সিটি টু টাউনের যে ধারণা আর শিল্পায়নের লক্ষ্যে টানেল হয়েছে, তা কার্যকরে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। সাথে পরিকল্পিত উন্নয়ন।

নগরবিদ স্থপতি আশিক ইমরান বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সংযোগ সড়ক দ্রুত সময়ের মধ্যে চার লেন বা ছয় লেনে উন্নীত করা দরকার। একইসঙ্গে আগামীর বাংলাদেশকে মাথায় রেখে দক্ষিণ চট্টগ্রামে পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা, পরিকল্পিত শিল্পাঞ্চল এবং পরিকল্পিত পর্যটন নগরী গড়ে তোলার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা দরকার। তবেই পণ্যবাহী যানবাহনের পাশাপাশি অন্যান্য সব যানবাহন ব্যবহারে প্রসারিত হবে।

শুরুতে কয়েকটি ঘটনা-দুর্ঘটনা ঘটায়, গতি নিয়ন্ত্রক ক্যামেরা স্থাপনের উদ্যোগসহ নিরাপত্তা জোরদার করে কর্তৃপক্ষ। এখন চলছে দুপাড়ে পুলিশ আর ফায়ার স্টেশন স্থাপনের কাজ। যা শেষের কথা রয়েছে জানুয়ারি নাগাদ।

Facebook Comments Box
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here