দেশের ৭২টি অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, এ পর্যন্ত ৯৮ লাখ ৩২ হাজার ই-পাসপোর্ট জনগণের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বাংলাদেশের ৩২তম বৈদেশিক মিশন হিসেবে স্টকহোম সুইডেনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে তিনি এ তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বতর্মানে দেশের ৬৪ জেলার ৭২টি অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। আজকে ৩২তম বৈদেশিক মিশন হিসেবে সুইডেনে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু হয়েছে। এ পর্যন্ত ৯৮ লাখ ৩২ হাজার ই-পাসপোর্ট জনগণের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। শিগগির দেশের ৮০ টি মিশনে এর কার্যকারিতা শুরু হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ফসল হচ্ছে বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট সেবা। বাংলাদেশ আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তালমিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। চাহিদা ও উন্নত দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জাতীয় অবস্থান এবং মর্যাদা সুসংহত করার লক্ষ্যে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন ও চালুর উদ্যোগ দেয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিমানবন্দরে ই-গেট স্থাপন করা হয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম। উন্নত দেশগুলোর মধ্যে স্বল্পসংখ্যক দেশে এটি স্থাপিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আমরা শিগগির ই-ভিসা কার্যক্রমও শুরু করতে পারব।
তিনি বলেন, ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন করে। ওই বছরের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে বর্তমান বিশ্বের সর্বাধুনিক ই-পাসপোর্টের উদ্বোধন ঘোষণা করে বলেছিলেন, ই-পাসপোর্ট বাংলাদেশের জনগণের জন্য মুজিববর্ষের উপহার।
তিনি আরও বলেন, প্রবাসীরা বিদেশে অবস্থান করে দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। একই সঙ্গে বিদেশে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রবাসীরা যাতে যথাসময়ে সময়োপযোগী সেবা পান সেজন্য সরকার সবসময় সচেষ্ট। এরই ধারাবাহিকতায় বৈদেশিক মিশনগুলোতে ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম উদ্বোধন হচ্ছে।