গত বৃহস্পতিবার থেকে গতকাল শনিবার রাত ৯টা পর্যন্ত আবহাওয়া ভালো থাকায় পানি কিছুটা কমলেও রাত ১০টার পর থেকে থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে নোয়াখালীতে আবারও বাড়ছে বন্যার পানি। এদিকে ফেনীর বন্যার পানিও চাপ দিয়েছে নোয়াখালীতে। সরকারি হিসাবে জেলায় প্রায় ২০ লাখ মানুষ পানিবন্দি।
এদিকে, জেলায় জলাবদ্ধতার কারণে এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন- সেনবাগের দক্ষিণ মোহাম্মদপুর গ্রামের কাকন কর্মকার (৩০), ইয়ারপুর গ্রামের জিলহাজুল ইসলাম (১০) ও সদর উপজেলার পূর্ব শুল্লকিয়া গ্রামের আড়াই বছর বয়সের রিয়ান।
এদিকে ফেনীর বন্যার পানিও চাপ দিয়েছে নোয়াখালীতে। ফেনীর চিলনিয়া খাল হয়ে পানি সেনবাগ, সোনাইমুড়ি, চাটখিল ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় আসতে শুরু করেছে। এতে দুর্ভোগ যেন স্থায়ী হচ্ছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদ হাসান খান জানান, জলাবদ্ধতার কারণে এ পর্যন্ত জেলায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজন সরাসরি পানিতে ডুবে মারা যায়। তারা দুজনই শিশু। অপরজন ঘরে পানি ঢুকে পড়ায় বিদ্যুতের শর্টসার্কিটের কারণে মারা গেছে।