‘আমরা একটি ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন করতে চাই’

0
102
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। ছবি : সংগৃহিত

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘আমরা একটি সুন্দর, পরিপক্ব, ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন করতে চাই। এটাতে আমরা বদ্ধপরিকর। আমরা সব দলের অংশগ্রহণ চাই। কিন্তু কে অংশগ্রহণ করবে কি করবে না, এটা তাদের ব্যাপার। আমাদের দরজা খোলা। আর আমরা তো নির্বাচন করব না, ইলেকশন কমিশন নির্বাচন করবে। তারা দেশের সব আইন মেনে সব নিয়ম উদযাপন করে তারা নির্বাচনে আসুক।’

শনিবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সিলেট নগরীর ধোপাদিঘিরপাড়স্থ নিজ বাসভবন হাফিজ কমপ্লেক্সে কালবেলার মুখোমুখি হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা দেশে আমরা গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখি। আমার ভোট আমি দেব যাকে ইচ্ছা তাকে দেব। এই যে কনসেপ্ট অব ডেমোক্রেসি শেখ হাসিনা সরকার সেটা প্রতিষ্ঠিত করেছেন। গত ১৫ বছরে প্রায় কয়েক হাজার নির্বাচন হয়েছে এবং সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। দু-একটি যেখানে ইরেগুলারিটি হয়েছে, ইলেকশন কমিশন সেগুলো বাদ দিয়ে দিয়েছে। বিএনপি যদি সরকারে আসতে চায়, তাহলে তাদের নির্বাচনে আসতে হবে। আমি আহ্বান জানাব যে, তারা তাদের এই অপকর্ম সব জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে তারা নির্বাচনে যোগদান করবে। তাদের যদি যথেষ্ট সাপোর্ট থাকে যেটা তারা ক্লেইম করে, তারা প্রমাণ করবে নির্বাচনের মাঠে। আমাদের কোনো আপত্তি নেই এবং নির্বাচনে এলে আমরা তাদের সাহায্য করব।

২৮ অক্টোবরের পরবর্তীতে বিএনপির ডাকা হরতাল-অবরোধে বিষয়ে পররাষ্টমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক যে আমাদের একটা বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। তারা যত ধরনের প্রতিবাদ, শোভাযাত্রা, হরতাল করছে আমরা সে অধিকার দিয়েছি, আওয়ামী লীগ সরকার সব ধরনের শান্তিপূর্ণ শোভযাত্রা করার অনুমতি দিয়েছে। বিএনপি গত কয়েত মাস ধরে সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রচারণা করেছে, শোভাযাত্রা করেছে। ২৮ অক্টোবর তারা পুলিশকে বলল যে, তারা শান্তিপূর্ণ শোভাযাত্রা করবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় তারা কি করল, তারা বিচারকের বাসভবনে আক্রমণ করল।

পুলিশ-সাংবাদিক-জনগণের প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশ জনগণের বন্ধু, জনগণের জান-মালের নিরপত্তা দেয় যারা, সেই পুলিশকে তারা নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যা করল। তারা কী করল, সাংবাদিক আমাদের দলের না; সাংবাদিকরা জনগণের সামনে খবর পৌঁছে দেয়। সেই সাংবাদিকদের তারা আহত করল। প্রায় ২৫ জন সাংবাদিক তাদের নির্যাতনের শিকার হন। আর সর্বোপরি হাসপাতাল, হাসপাতাল যেখানে মানুষের সেবা হয়।

বিএনপি ইসরায়েলের মতো হাসপাতালে আক্রমণ করেছে উল্লেখ করে একে আবদুল মোমেন বলেন, ‘সেখানে ১৩টি অ্যাম্বুলেন্স ও ২৯টি গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। বাসে ঘুমন্ত অবস্থায় একজন হেলপারকে জীবন্ত জ্বালিয়ে ফেলে। রাজনৈতিক দল দেশের উন্নয়নের কথা বলে।’

কিন্তু দেশের সম্পদ নষ্ট করা কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ হতে পারে না বলে মন্ত্রী মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘এটা একটি সন্ত্রাসী দলের কাজ। আমি বিএনপিকে আহ্বান করেছিলাম, তারা যদি আপনার দলের না হয়, তাহলে আপনারা তাদেরকে চিহ্নিত করেন এবং জাতির কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন। বলেন, এই লোকগুলো আমাদের লোক না। এরা সন্ত্রাসী। ঢাকা উত্তর মহানগরের যুবদলের একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রেসের জ্যাকেট পরে অন্যায় কাজ করেছে। আমি বিএনপির নেতাদের এখনো বলি যারা সন্ত্রাসী কাজ করেছে, তারা আপনাদের দলের লোক কি না, তাদেরকে নিয়ে জাতির কছে ক্ষমা চান। বলুন, আর এই রকম অপরাধ কখনো করবেন না।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘নাশকতার সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছে তাদের অনেককে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ও বিশ্লেষণ করে সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যে হুকুম দিয়েছে, দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদেরকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা রাজননৈতিক আশ্রয় নিয়ে অপকর্ম করবে, এটা আমরা কখনো বরদাশত করব না। পুলিশ ও দেশবাসীকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত যে তারা ভালো কাজ করেছে, প্রত্যেক শয়তানকে আইডেন্টিফাই করে কেস করেছে।

Facebook Comments Box
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here