রাজধানীতে সকালে হরতালের কী প্রভাব

0
114

নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপিসহ বিরোধীদের ডাকা টানা ৪৮ ঘণ্টা হরতালের প্রথম দিন সকালে রাজধানীতে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। যদিও অন্যন্য দিনের তুলনায় যানবাহনের সংখ্যা কম। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বেশ তৎপর।

রোববার (১৯ নভেম্বর) সকালে নয়াপল্টন, গাবতলী, শাহবাগ ও মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে গণপরিবহনের পাশাপাশি চলছে ব্যক্তিগত গাড়িও। উত্তরবঙ্গ থেকে বাসগুলো ঠিক সময়ে রাজধানীতে প্রবেশ করছে। ঢাকা থেকে ছেড়ে যাচ্ছে দূরপাল্লার বাসও। যদিও যাত্রীর চাপ কিছুটা কম।

সকালে ঢাকার অভ্যন্তরীণ গণপরিবহনের চাপ কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে যানবাহনের সংখ্যা। কর্মজীবীরা কর্মস্থলে যেতে শুরু করেছেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে গণপরিবহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জনমনে কিছুটা আতঙ্ক বিরাজ করছে।

অবশ্য সকাল থেকে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। তাদের পক্ষ থেকে বরাবরই জানানো হয়েছে, যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করে যাবেন তারা। আর দেশের স্বার্থে কোনো সংঘাত সৃষ্টি না করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান সাধারণ জনগণের।

এদিকে, হরতালের আগের রাতে আগারগাঁও, গুলিস্তান, ধানমণ্ডি ও কালশিতে চারটি বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়। শনিবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকেই বাসে আগুন দেয়া শুরু করে হরতাল সমর্থনকারীরা। সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিরপুর থেকে যাত্রী নিয়ে ফার্মগেটের দিকে যাচ্ছিল বিহঙ্গ পরিবহনের একটি বাস। তালতলা মোড়ে পৌঁছালে হঠাৎই আগুন লাগে বাসটিতে। যাত্রীরা দ্রুত বাইরে বের হয়ে যান। বাসে আগুন দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় একজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা।

রাতে মৌমিতা পরিবহনের একটি বাস নারায়ণগঞ্জ থেকে গাবতলী যাওয়ার পথে ধানমন্ডি এলাকায় আগুন ধরিয়ে দেন দুর্বৃত্তরা। এ সময় বাস থেকে যাত্রীরা নিরাপদে নেমে গেলেও পুড়ে যায় বাসটি। পুলিশ জানায়, যাত্রীবেশে বাসে উঠে পেছনের সিটে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় হরতালকারীরা।

রাত ৮টার পর গুলিস্তানে একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয়া হয়। কাছাকাছি সময় কালশি রোডে দাঁড়িয়ে থাকা বসুমতি বাসে আগুন ধরিয়ে দেন হরতাল সমর্থনকারীরা। এসব ঘটনায় কেউ আহত হয়নি কিংবা কাউকে আটকও করতে পারেনি পুলিশ।

কালশি রোডেও দুটি বাসে আগুন দেয়া হয়। অবশ্য তাতেও কেউ হতাহত হয়নি।

এছাড়াও সারা দেশে বিক্ষিপ্তভাবে যানবাহনে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। কোথাও ট্রেনে আগুন, আবার কোথাও বাসে।

গত তিন সপ্তাহে নিয়মিত হরতাল-অবরোধের কারণে দেশে এখন পর্যন্ত ১৫০টিরও বেশি বাসে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবুও রোববার থেকে ডাকা হরতালে বাস চলাচল স্বাভাবিক রাখতে মালিকদের অনুরোধ জানায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।

Facebook Comments Box
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here