জরুরি প্রয়োজনে যেমন ‘৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে সেবা নেওয়া যায়, ঠিক তেমনি নিত্যপণ্যের মূল্যের লাগামছাড়া দামে ভোক্তার ‘পকেট কাটা’ রুখতে আসছে ফোনকল সেবা। যে কেউ কল করলেই জানতে পারবেন নিত্যপণ্যের প্রকৃত দাম।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
প্রতিমন্ত্রী জানান, পণ্যমূল্য জানতে ‘৩৩৩’ নম্বরে ফোন করে তথ্য পাওয়ার ব্যবস্থা করতে চায় সরকার। বিষয়টি নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে আলোচনা চলমান। এ ক্ষেত্রে তারা একটি সেল গঠন করবে।
আহসানুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এমন একটা সিস্টেম ইনশাআল্লাহ ডেভেলপ করব, যেটায় আমাদের ভোক্তাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার থাকবে। আমরা এ কথা বলতে চাই না যে আমরা ব্যবসাবান্ধব। আমরা ভোক্তাবান্ধব একটা পদ্ধতি তৈরি করতে চাই। যাতে আমাদের ভোক্তারা সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা পায়। আর ভোক্তাদের সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা যদি দিতে হয়, তাহলে ভোক্তাদের কাছে উৎপাদন বা এটা ইম্পোর্ট করে যারা অ্যাভেইলেবল করে, তাদের সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করা আমাদের এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।’
তিনি বলেন, আমাদের যে প্রাইস ডিসকাভারি সিস্টেম- রেফারেন্স প্রাইস, যেটা আমি মনে করি অনেক সময় আমাদের মিসলিড করে। সুগার (চিনি) অ্যান্ড ইডিবল ওয়েল (ভোজ্যতেল) দুইটাই আন্তর্জাতিক পণ্য এবং এটার মার্কেট প্রাইস সবাই দেখতে পারে। আমি মিডিয়াকে বলব আমাদের যে রেফারেন্স প্রাইসটা আমরা ডিসকাভারি করি- এটা যেন আমাদের মিসলিডিং না হয়।
বৈশ্বিক দরের উঠা-নামার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, একই দিনে একই পণ্য আমাদের তিনজন ইম্পোর্টারকে কিন্তু তিন দামে কিনতে হতে পারে। আমি যদি একটা এভারেজ ডিসকাভারি প্রাইস দেই, ট্যারিফ কমিশন তাদের ওপর চাপিয়ে দেয়- সেটা আমার কাছে যুক্তিযুক্ত মনে হবে না। প্রাইস ডিসকাভারির জায়গাটা আমরা স্বচ্ছভাবে করব এবং সেটা রেফারেন্স প্রাইস হিসেবে থাকবে।
সৌজন্য সাক্ষাতে অন্যদের মধ্যে ইআরএফের সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মৃধা, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমসহ সংগঠনের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।