বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) বলেছেন, দেশের শিল্প খাত বর্তমানে একটি চ্যালেঞ্জিং সময় অতিবাহিত করছে। তিনি বলেন, দেশে কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান তার ৬০-৭০ শতাংশ সক্ষমতায় চলছে, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে সব প্রতিষ্ঠানের সেলস ড্রপ করেছে। গ্যাসের প্রেসার কম, ঋণের উচ্চ সুদহার, আবার ব্যাংকগুলো প্রপার সাপোর্ট দিতে পারছে না। সবকিছু মিলিয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে দেশীয় শিল্প।
গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বিসিআই পরিচালনা পর্ষদের সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
বিসিআই সভাপতি বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা অন্যান্য যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক ভালো। এমনকি বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায়ও ভালো অবস্থানে রয়েছে। বিশেষ করে দেশে জঙ্গি দমন ও চরমপন্থি দমনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তিনি প্রশংসা করেন। হরতাল-অবরোধের সময় এবার ব্যবসা-বাণিজ্য স্বাভাবিক থাকায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তিনি ধন্যবাদ জানান।
বিসিআই সভাপতি বলেন, বিসিআই সমগ্র বাংলাদেশভিত্তিক একক এবং একমাত্র জাতীয় শিল্প চেম্বার বিসিআই স্থানীয় সব শিল্পের উন্নয়নের পথে সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা নিরসনে কাজ করে চলেছে।
তিনি জানান, আমরা দেশের এসব সমস্যা নিয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে বসেছিলাম, তাদের নীতি সম্পর্কে জানতে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এখন প্রধান লক্ষ্য মুদ্রাস্ফীতি ৬ শতাংশে নিয়ে আসা। বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকের ঋণের সুদহার একটা নির্দিষ্ট পর্যায়ে রাখতে স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু পলিসির কারণে ব্যাংকগুলো বন্ডে বিনিয়োগের দিকে উৎসাহিত হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
এর ফলে ব্যাংকে তারল্য সংকট দেখা দেবে। নতুন বিনিয়োগ আসবে না, সঙ্গে সঙ্গে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পাবে। আমাদের এখন বর্তমান শিল্পগুলোকে বাঁচিয়ে রাখা অত্যন্ত জরুরি।
বিসিআই সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও খাদ্যের মুদ্রাস্ফীতি সবচেয়ে বেশি। এর একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে- পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে চাঁদা আদায়। আমরা মনে করি, পণ্য পরিবহনের চাঁদা বন্ধ করা গেলে পণ্যমূল্য অনেকটাই কমে আসবে।
এক্ষেত্রে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। মুদ্রাস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে চলে আসলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংকোচন নীতি গ্রহণ করতে হবে না। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে ডলারের কারেন্ট অ্যাকাউন্ট পজেটিভ হয়েছে, যা আশাব্যঞ্জক এবং আর্থিক হিসাবও আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পজেটিভ হয়ে যাবে।
বিসিআই’র পক্ষ হতে গাজীপুরসহ শিল্প অঞ্চলগুলোতে এটিএম বুথের আশেপাশে ছিনতাই বাড়ছে, এদিকেও মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।