জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্সসহ দেশের অভ্যন্তরে গুরুত্বপূর্ণ কাজের একটি অপরিহার্য নথি হলো জন্মনিবন্ধন সনদ। জন্মসূত্রে একজন ব্যক্তির নাগরিকত্বের পরিচয় ধারণ করে এই জন্মনিবন্ধন সনদপত্রটি। তাই এবার জন্মনিবন্ধনে নাম নিয়ে নতুন নিয়মের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন কার্যালয়।
রোববার (৫ নভেম্বর) সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন কার্যালয়ের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. রাশেদুল হাসান।
তিনি বলেন, এখন থেকে জন্মনিবন্ধন সনদে প্রত্যেক ব্যক্তির নাম কমপক্ষে দুই শব্দের হতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে জন্মনিবন্ধন সনদ দেয়া হবে না। পাসপোর্ট তৈরি, বিদেশে বিভিন্ন সেবা নিতে সমস্যা হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জন্মনিবন্ধন ব্যক্তির প্রথম ও প্রাথমিক নিবন্ধন। জন্মনিবন্ধন সনদ ব্যক্তির ও ব্যক্তির বাবা-মায়ের পরিচয় বহন করে। এ নিবন্ধনের ওপর ভিত্তি করে ব্যক্তিজীবনের পরবর্তী সব নিবন্ধন হয়ে থাকে। তাই শুধু ডাকনাম বা এক শব্দবিশিষ্ট নাম উল্লেখ করে জন্মনিবন্ধন করা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, এখন থেকে সখিনা, মর্জিনা বা রশিদ- এ ধরনের এক শব্দের নামে আর জন্মনিবন্ধন সনদ ইস্যু করা হবে না। নাম দুই শব্দবিশিষ্ট যেমন- সখিনা বেগম বা সখিনা খাতুন, আব্দুর রশিদ বা মো. আব্দুর রশিদ সরকার এভাবে লিখতে হবে।
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন করা হয় ২০০৪ সালে। জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়ন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, শিশু অধিকার সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে আইনটি ৩ জুলাই ২০০৬ থেকে কার্যকর করা হয়।
জন্ম নিবন্ধন আইনে বলা হয়েছে, বয়স, জাতি – গোষ্ঠি, ধর্ম- কিংবা জাতীয়তা সব নির্বিশেষে বাংলাদেশে জন্ম গ্রহণকারী প্রত্যেকটি মানুষের জন্য জন্মনিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক করা হয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পদক্ষেপ হিসেবে ২০১০ সাল থেকে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়। সারা দেশে সরাসরি জন্ম নিবন্ধনের পাশাপাশি অনলাইনেও নিবন্ধন কার্যক্রম চলছে। ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রায় শতভাগ মানুষ জন্মনিবন্ধনের আওতায় এসেছে।