এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) শুরুটা ভালো হয়নি আসরের অন্যতম ফেভারিট রংপুর রাইডার্সের। তিন ম্যাচের দুটিতে হেরে বেশ খারাপ অবস্থায় ছিল তারকায় ঠাসা দলটি। তবে তৃতীয় ম্যাচে এসে নিজেদের শক্তি দেখাল তারা। সিলেটে প্রথমে ব্যাট করে বড় সংগ্রগের পর ঢাকাকে অল্পতে আঁটকে দিয়ে বড় জয়ই তুলে নিল সাকিব-সোহানের রংপুর রাইডার্স।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সিলেট আর্ন্তজাতিক স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে বাবর আজমের ব্যাটে ভর করে ১৮৩ রানের বড় সংগ্রহ তুলে রংপুর। বড় টার্গেটে রংপুরের সামনে দাড়াতেই পারল না ঢাকা। ১৬.৩ ওভারেই ১০৪ রানে থামে ঢাকার ইনিংস। ঢাকার পক্ষে একা লড়েন অ্যালেক্স রস। তার ৫১ রান দলীয় শতক পার করায় ঢাকার। রংপুরের পক্ষে মাহাদী হাসান নেন ৩ উইকেট।
বড় রানের টার্গেটে শুরুতেই ধাক্কা খায় ঢাকা। প্রথম ওভারেই লঙ্কান ওপেনার দানুশকা গুনাথিলাকা রানের খাতা খোলার আগেই ওমরজাইয়ের দারুণ ইনসুইংয়ে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরত যান।
তিনে নেমে পাকিস্তানি ওপেনার সাইম আইয়ুব ছয় হাকিয়ে শুরু করেন নিজের ইনিংস। তবে কিছুক্ষণ পরেই ওমরজাইয়ের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন তিনি। ৩১ রানে দুই উইকেট হারানোর পর দ্রুত ক্রসপুল্লে আর নাইম শেখ এক রানের মধ্যে ফিরলে আরো বেশি চাপে পড়ে ঢাকার ফ্রাঞ্চাইজিটি।
তবে এরপরও ঢাকাকে আসা দেখাচ্ছিলেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক সৈকত আর অস্ট্রেলিয়ান অ্যালেক্স রস। তাদের ৪৯ রানের জুটি অবশ্য কাজে আসেনি। দলীয় ৮১ রানের সময় দুই বলে মোসাদ্দেক আর ইরফান শুক্কুরকে সাজঘরে পাঠিয়ে ম্যাচের আনুষ্ঠানিকতাই শুধু বাকি রাখেন হাসান মাহমুদ।
ঢাকার লড়াই অবশ্য ওইখানেই শেষ হয়ংনি রস ফিফটি আদায় করে নেন ঠিকই। তবে তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি কেউই। আলাউদ্দিন বাবু আউট হয়েছেন সাকিবের বলে। পরের ওভারে আউট হয়েছেন রস এবং শরিফুল ইসলাম। দুজনেই মাহাদীর শিকার। তাসকিন আহমেদ ইনজুরির কারণে মাঠে না নামলে নিশ্চিত হয় ঢাকার বড় পরাজয়।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বাবর আজমের ৬২ ও আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ঝড়ো ৩২ রানে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান করে রংপুর। ঢাকার পক্ষে আরাফাত সানি সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট শিকার করেন।