ভারত সরকার বিশেষ ব্যবস্থায় কয়েকটি দেশে ৩ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ রফতানির নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। দেশটির গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়ে বলছে, এর মধ্যে বাংলাদেশে যাবে ৫০ হাজার মেট্রিক টন। আর এ বাণিজ্য পুরোটাই হবে সরকারি পর্যায়ে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সুপারিশে জরুরি ভিত্তিতে কয়েকটি দেশে পেঁয়াজ রফতানির অনুমোদন দিয়েছে দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্য শাখা (ডিজিএফটি)। সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত প্রজ্ঞাপন জারি না হলেও ভারতের গণমাধ্যমের দাবি, সরকারি পর্যায়ে এ পেঁয়াজ রফতানির সিদ্ধান্তটি বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, বাহরাইন ও মরিশাসের জন্য প্রযোজ্য হবে। এ বাণিজ্য শুধু সরকারিভাবেই সম্পাদন হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালরের সুপারিশের ভিত্তিতে রফতানির এ সিদ্ধান্ত নজিরবিহীন বলেও মনে করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, প্রতিবেশী দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভারত সরকারের এমন সিদ্ধান্ত অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং ইতিবাচক।
এরই মধ্যে মহারাষ্ট্র সরকারও সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার তাদের রাজ্য থেকে ৩ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ রফতানির অনুমোদন দিয়েছে। জানা গেছে, এর মধ্যে বাংলাদেশে রফতানি হবে ৫০ হাজার মেট্রিক টন।
সম্প্রতি বাংলাদেশের পরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ভারত সফরে গিয়ে পেঁয়াজ-চিনিসহ প্রয়োজনীয় পণ্য রফতানি স্বাভাবিক করতে দিল্লিকে অনুরোধ জানান। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের জন্য একটি কোটা পদ্ধতি চালুরও প্রস্তাব দেন তিনি।
এর আগে, ১৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘রমজানের আগেই বাজারে থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ ও চিনি সরবরাহ করতে পারব। আমরা ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ ও ১ লাখ মেট্রিক টন চিনির চাহিদা দিয়েছি। আমরা ২০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ ও ৫০ হাজার মেট্রিক টন চিনির প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। কিন্তু আমরা প্রত্যাশা করছি, আমাদের চাহিদার পুরোটাই আমরা রোজার আগে নিয়ে আসতে পারব।’
গত বছরের ৮ ডিসেম্বর থেকে হঠাৎই ভারত অভ্যন্তরীণ বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়। সে সময়ে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজার নিয়ন্ত্রণে ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রফতানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।