ভোট ঠেকাতে দুই সপ্তাহের মাস্টার প্ল্যান বিএনপির!

0
98

জাতীয় নির্বাচন ঠেকাতে দুই সপ্তাহের মাস্টার প্ল্যান নিয়ে মাঠে নামতে চায় বিএনপি। ভোট বর্জনের অসহযোগ আন্দোলন সফল করতে সর্বোচ্চ সাংগঠনিক শক্তি নিয়ে মাঠে নামার ঘোষণা দলটির নেতাদের। তারা বলছেন, আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের নির্বাচনে জনগণকে নিরুৎসাহিত করতেই তাদের এমন কর্মসূচি।

বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর সরকার পতনের একদফা আন্দোলনের নতুন মাত্রা অসহযোগ। ভোটবিরোধী প্রচারণা এবং নির্বাচনে জনগণকে নিরুৎসাহিত করতে ১৫ দিনের মাস্টার প্ল্যান নিয়ে এগোচ্ছে দলটি। গণসংযোগের পাশাপাশি হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি আরও শক্তভাবে পালন করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের। নির্বাচন বর্জনকারী সব দলকে এ আন্দোলন পাশে চায় বিএনপি। নিজেরাও সর্বোচ্চ সাংগঠনিক শক্তি নিয়ে এই ১৫ দিন মাঠে নামতে চায় দলটি।

বিএনপির নেতারা মনে করেন, ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার আন্দোলনে সমর্থন আছে সাধারণ মানুষের। অতীতের মতো এবারো দেশে-বিদেশে বিতর্কিত হবে নির্বাচন।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, বাংলাদেশের অধিকাংশ জনগণ ভোটকেন্দ্রে যাবে না। এই নির্বাচন একতরফা নির্বাচন, ক্ষমতায় থাকার নির্বাচন। ভোটাধিকার ফিরে পাবার নির্বাচন নয়। ‘১৪ এবং ‘১৮ সালে তো তারা ভোট ছাড়া তাদের ইচ্ছামতো নির্বাচন করে নির্বাচিত হয়েছেন। এবার হবে আওয়ামী আর ডামি মার্কা নির্বাচন। আওয়ামী আর ডামির মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে পৃথিবীর কোথাও নির্বাচন বলবে কিনা সেটা নিয়ে সন্দিহান বিএনপির এই নেতা।

এদিকে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে সরকারের কোনো কৌশল কাজে আসবে না বলেও মনে করেন বিএনপি নেতারা।

এ বিষয়ে দলটির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, শুধু ভোটারদের নিরুৎসাহিত করাই না, আমাদের কাজ হলো কেন বিএনপি নির্বাচনে যাচ্ছে না, বিএনপির সাথে অন্য রাজনৈতিক সংগঠনগুলো কেন নির্বাচন বয়কট করছে বা ভোটাররা কেন নির্বাচন বিমুখ হচ্ছে এই বিষয়গুলো অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণের কাছে তুলে ধরা। মানুষকে বন্দুকের নল ঠেকিয়ে ভোটে আসতে বাধ্য করার মতো অবস্থা লক্ষ করা যাচ্ছে। ভোটারের স্বাধীনতা আছে ভোট কেন্দ্রে না যাওয়া।

তৃণমূলের নেতাকর্মীরা কোনো দল বা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা বা নির্বাচনের কাজে অংশ নিলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে নির্বাচনী প্রচারণা।

Facebook Comments Box
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here