নানা কারণে রক্তশূন্যতা হতে পারে। রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরির প্রধান উপাদান আয়রন কমে গেলে আয়রন ঘাটতিজনিত রক্তশূন্যতা হতে পারে। এ ছাড়া ভিটামিন বি ও ফলিক অ্যাসিডের ঘাটতি, দীর্ঘমেয়াদি রোগ (যেমন কিডনি বিকল), দীর্ঘমেয়াদি সংক্রমণ (যেমন যক্ষ্মা), ক্যানসার, থাইরয়েডের সমস্যা, অস্থিমজ্জায় সমস্যা, সময়ের আগে রক্তকণিকা ভেঙে যাওয়া, রক্তক্ষরণ ইত্যাদি হতে পারে রক্তশূন্যতার কারণ।
তবে এটি সবচেয়ে বড় অপুষ্টিজনিত একটি সমস্যা। শুধু অপুষ্টি নয় আয়রনের অভাব কিংবা থ্যালাসেমিয়ার মতো রোগ এর কারণ হতে পারে। এ ছাড়াও শরীরের অভ্যন্তরীণ ক্ষত থেকে হওয়া রক্তক্ষরণের ফলেও শরীরে দেখা দিতে পারে রক্তশূন্যতা।
পরিবারের কেউ রক্তশূন্যতায় ভুগলে অন্যান্যদেরও হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রতি লিটার রক্তে ১৩৫ গ্রাম। আর নারীদের ১২০ গ্রামের কম হলেই তাকে রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ার লক্ষণ বলা হয়।
জেনে নেয়া যাক কোন কোন লক্ষণ দেখে আপনি বুঝবেন রক্তশূন্যতায় ভুগছেন-
১. শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়। এক্ষেত্রে রোগী সব কাজে হাঁপিয়ে বা ক্লান্ত হয়ে পড়েন।
২. রক্তাল্পতার প্রভাবে ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যেতে শুরু করে। অনেকেই ভাবেন, ত্বক হয়তো উজ্জ্বল হচ্ছে! এ ছাড়াও রক্ত শূন্যতার কারণে চোখের ভেতরের মাংস পেশিগুলোও লাল রং হারিয়ে ফেলে।
৩. শরীরের আয়রন কমে গেলেই দেখা দেয় রক্তশূন্যতা। এর প্রভাবে চুলও পড়ে যেতে পারে। কাজেই অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যাও রক্ত স্বল্পতার লক্ষণ হতে পারে।
৪. রক্তশূন্যতার রোগীরা অল্পেই ক্লান্তি ও বিষণ্নতায় ভোগেন। যা ডেকে আনতে পারে মাথাব্যথাও। কিছু ক্ষেত্রে রোগী মানসিক অবসাদের শিকার হতে পারেন।
৫. হাত-পা ঠান্ডা হয়ে থাকাও কিন্তু রক্তশূন্যতার ইঙ্গিত দেয়। তাই এসব লক্ষণ দেখলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া ভালো।