শীতে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগীদের সতর্কতা ও করণীয়

0
98

ঠান্ডার এ মৌসুমে যেসব রোগ জীবনে নানান প্রতিকূলতা সৃষ্টি করে তার মধ্যে অন্যতম হলো কোষ্ঠকাঠিন্য। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতের এ সময় কোষ্ঠকাঠিন্য রোগীদের বিশেষ সতর্কতা মেনে চলা প্রয়োজন।

কোষ্ঠকাঠিন্য হলো একটি অস্বাভাবিক শারীরিক অবস্থা যখন একজন ব্যক্তি সহজে মলত্যাগ করতে সক্ষম হন না। সাধারণত এক বা দুই দিন পরপর মলত্যাগের বেগ হওয়া এবং শুষ্ক ও কঠিন মল নিষ্কাশন প্রক্রিয়াই চিকিৎসাশাস্ত্রে কোষ্ঠকাঠিন্য বলে পরিচিত।

শীতে আবহাওয়া ঠান্ডা থাকায় পানি খাওয়ার পরিমাণ কমবেশি সবারই কমে যায়। এতে করে বিপদে পড়েন কোষ্ঠকাঠিন্য রোগীরা। অলসতার কারণে দীর্ঘ সময় পানি ও খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকার কারণেও কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রকোপ এই সময় বেড়ে যায়।

এমন সমস্যায় রোগীর করণীয় কী সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন।

তিনি বলেন, কোষ্ঠকাঠিন্যের মূল কারণ হলো শরীরে প্রয়োজনীয় পানির অভাব। এই একটি কারণেই শীতে কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগীদের অবস্থা আরও নাজুক হয়ে পড়ে। অবস্থা আরও খারাপের দিকে যায় যখন কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগী শীতে পানি কম খাওয়ার পাশাপাশি অলসতার কারণে দীর্ঘ সময় খাবার গ্রহণে বিরতি দিতে শুরু করে। ডায়েট লিস্টে ভাজাপোড়া, তৈলাক্ত খাবার, চর্বি এবং মাংস জাতীয় খাবার বেশি খাওয়ার প্রবণতা থাকলেও কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা জটিল হতে শুরু করে।

ডা. মামুনের পরামর্শ অনুযায়ী, কিছু বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দিলেই শীতে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা জয় করা যায়। এগুলো হলো-

১। সকালে একটি খেজুর আর এক গ্লাস ইসবগুল খেয়ে দিন শুরু করতে হবে।

২। প্রতিদিনের খাবারে প্রাধান্য দিতে হবে ফাইবার জাতীয় খাবার ও হেলদি ফুডকে।

৩। সারাদিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করার চেষ্টা করতে হবে। তরল খাবার যেমন জুস, স্যুপ এসব খাবার শীতে বেশি খেতে হবে।

৪। শীতে হজম শক্তি কমে যায়। তাই এমন খাবার খাবেন না যা আপনার অ্যাসিডিটি তৈরি করতে পারে। যেমন বাইরের খাবার, তেল চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

৫। সহজে হজম হয় যেমন লাল আটার রুটি, লাল চাল, শস্যজাতীয় খাবার, রঙিন ফলমূল বেশি করে খেতে হবে।

৬। টয়লেট করার আগে এক গ্লাস পানি পান করতে হবে। পাশাপাশি প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় টয়লেটে যাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে।

তারপরও যদি কোনো কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা জটিল হয়ে ওঠে তবে বাজারে বিভিন্ন ধরনের সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো ব্যবহারে মল অনেকটাই নরম থাকে ও রোগী আরাম বোধ করে।

Facebook Comments Box
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here