রাজধানীর নন্দীপাড়ার ত্রিমোহনীসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ ভুগছেন সুপেয় পানি সংকটে। লাইনের পানিতে করা যাচ্ছে না গোসল, গৃহস্থালির কাজকর্মও করা যাচ্ছে না। আর খাবারের চিন্তাতো করাই দায়। এমন সংকটে বাড়ছে শিশুহসহ সব বয়সী মানুষের রোগব্যাধি। সুপেয় পানির অভাবে রীতিমতো রাস্তায় নেমে মিছিলও করছেন নগরবাসী। গরম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এই ভোগান্তি বাড়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ত্রিমোহনী এলাকায় তিনটি পানির পাম্প থাকলেও দুটি থেকে আসে ময়লা পানি। ভরসা কেবল একটিই। তাই এর সামনে পানি সংগ্রহে প্রতিনিয়ত চলে যুদ্ধ। পানির অপর নাম জীবন হলেও এই এলাকার মানুষের জন্য পানিই বিভিন্ন রোগের কারণ। এখানকার মানুষ অনেকেই হয়তো ভুলতে বসেছেন পানির আসল রঙ কিংবা স্বাদ।
তীব্র পানি সংকট আর সুপেয় পানির অভাবে একদিকে যেমন বাড়ছে রোগবালাই, সেই সঙ্গে বাড়ছে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে পানি সংগ্রহের ভোগান্তি। ঠিক কীভাবে মিলবে সমাধান সেই প্রশ্নের নেই কোনো সহজ উত্তর।
ভোগান্তির গল্প এখানেই শেষ নয়। সংগ্রহ করা এই পানি দিয়েই চলে গোসল, খাওয়া, রান্না-বান্নাসহ সব কাজ। এমনকি পানি খেতেও হয় হিসাব করে।
নল থেকে পড়া পানি দেখা বোঝা দায় পানি না অন্য কিছু। এই ময়লা পানি যেমন খাওয়ার অনুপোযোগী, তেমনি রান্নার কাজেও ব্যবহার করা যায় না। এমনকি খেলেই হয় নানা রোগ। বারবার অভিযোগেও মেলেনি কোনো সমাধান।
ভুক্তভোগীরা বলছেন,
পানি কম করে পান করতে হয়। কিন্তু পানি তো কম পান করে থাকা যায় না। আবার গোসল করলেও শরীরে চুলকানি হয়। বারবার অভিযোগ করেও লাভ হচ্ছে না।
যদিও ভিন্ন সুর কর্তৃপক্ষের। আশ্বাস ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যেই পানির ভোগান্তি কমবে এই এলাকার মানুষের।
ঢাকা ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইমরানুল ইসলাম সময় সংবাদকে বলেন,
এই সমস্যাটা আমি জানি। এখানে আয়রন রিমুভাল প্ল্যান্ট বসানোর কাজ চলছে। হয়তো ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে বসে যাবে। এটা বসলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।