ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আজ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল বুঝে নেবে সিভিল এভিয়েশন। ৪ বছরের বেশি সময়ে অবকাঠামো নির্মাণটির কাজ প্রায় ৯৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। যাত্রী সেবা দেয়ার লক্ষ্য আগামী অক্টোবর থেকেই এ টার্মিনালের সব সুবিধা মিলবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
দেশের এভিয়েশন খাতের যুগান্তকারী অবকাঠামো হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল। সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের আদলে এ টার্মিনালের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ। শনিবার (৬ এপ্রিল) জাইকার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মিতসুবিসির কাছ থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল বুঝে নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন।
সিভিল এভিয়েশন বুঝে নেয়ার পর পুরাতন টার্মিনালের অনেক কার্যক্রম তৃতীয় টার্মিনালে স্থানান্তর কার্যক্রম শুরু হবে। এ বিষয়ে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) আওতায় কাজ করা বোর্ড, তৃতীয় টার্মিনাল পরিচালনার সার্বিক বিষয় তুলে ধরে রিপোর্ট করবে সিভিল এভিয়েশনকে। তারপরই জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) সঙ্গে পরিচালনার বিষয়ে আরেকটি চুক্তি হবে।
২১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ের তৃতীয় টার্মিনাল প্রকল্পটি ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর শুরু হয়। সরকারের ৫ হাজার কোটি টাকা আর জাইকার অর্থায়নে শুরু হয় প্রকল্পের কার্যক্রম।
নান্দনিক তৃতীয় টার্মিনালে ডাবল এন্ট্রি ব্রিজসহ ১২টি বোর্ডিং গেট শুরুতে চালু হবে। পরবর্তীতে স্থাপন করা হবে আরও ১৪টি বোর্ডিং সেতু।
৫ লাখ ৪২ হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে তৃতীয় টার্মিনালে ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটারের একটি ফ্লোর স্পেস, ১১৫টি চেক-ইন কাউন্টার, ৬৬টি ডিপার্চার ইমিগ্রেশন ডেস্ক, ৫৯টি আগমন ইমিগ্রেশন ও ৩টি ভিআইপি ইমিগ্রেশন ডেস্ক রয়েছে।
বিশ্বমানের এই টার্মিনালে একসঙ্গে ৩৭টি উড়োজাহাজ পার্ক করে রাখা যাবে। এছাড়া ১৬টি ব্যাগেজ বেল্ট স্থাপন করা হয়েছে। গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধা থাকছে ১ হাজার ৪৪টি।
আগামী অক্টোবরে তৃতীয় টার্মিনাল চালু হওয়ার পর ঢাকা বিমানবন্দরের বার্ষিক যাত্রী সেবার পরিমাণ তিনগুণ এবং কার্গো হ্যান্ডলিং ক্ষমতা দ্বিগুণ হবে বলে আশা করছে সিভিল এভিয়েশন।