শীতের তীব্রতায় আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হচ্ছেন মানুষ

0
151

এবারের শীতে কাঁপছে দেশ। বেশি বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ। তাই খড়কুটো জ্বালিয়ে অনেকেই উষ্ণতার পরশ পেতে চাইছেন। তবে অসাবধানতায় আগুনে দগ্ধ হচ্ছেন, নারী-শিশুসহ সব বয়সী মানুষ। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন অন্তত ১৫ জন।

গত একমাস ধরে অসহনীয় জীবন কাটছে লালমনিরহাটের বীথি আক্তারের। সন্তান প্রসবের মাত্র দুদিন আগে হন অগ্নিদগ্ধ। এরপর থেকেই তিনি রংপুর মেডিকেলের বিছানায়। বীথি আক্তার বলেন, রংপুরে অনেক শীত তো, তাই খুব সকালে উঠে আগুন পোহাতে গেছি; আর পেছন দিক দিয়ে আগুন লাগছে। শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে আগুন পোহাতে গিয়ে একই অবস্থা হয় জমিলা বেগম ও শিশু হিমুর। আগুনে দগ্ধ হয়ে মারাও গেছেন দুই নারী।

রংপুর মেডিকেল কলেজ বার্ন ইউনিটের তথ্যমতে, ২০১৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে এই বিভাগে দুইশ’র বেশি রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

রংপুর মেডিকেলের চিকিৎসক বলেন, ডাক্তার, নার্স, ওষুধ, ও বেডসহ নানা সংকট রয়েছে হাসপাতালে। তাই চিকিৎসায় খরচ হচ্ছে বেশি। আর হাসপাতালের উপ-পরিচালক জানান, দগ্ধ রোগীদের জন্য নির্মাণ হচ্ছে আলাদা ভবন।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. শাহীন শাহ বলেন, বার্ন ইনস্টিটিউশনের জন্য আলাদা একটি বিল্ডিং তৈরি হবে। তখন আরও চিকিৎসকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং আধুনিক সুযোগ সুবিধাও হয়ত থাকবে।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আ ম আখতারুজ্জামান বলেন, ৮ লাখ মানুষের জন্য ১৪ বেড পর্যাপ্ত নয়। প্রতিনিয়ত মানুষ অসচেতনতার কারণে পুড়ে যাচ্ছে। মিড লেভেলের চিকিৎসক যদি থাকতো তাহলে অনেকটাই সুবিধা হতো।

এ ছাড়া ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে অর্ধশতাধিক রোগী এখন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

Facebook Comments Box
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here