সড়কবাতির ৩২১ কোটি টাকার অর্ধেকই লুট

0
101

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় প্রায় ৪৬ হাজার সড়কবাতি স্থাপনের কাজ পেয়েছিল প্রোটোস্টার লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান। পোল, ফিটিংসসহ বাতি বসানোর পুরো কাজের জন্য তাদের ৩২১ কোটি টাকার কার্যাদেশ দেওয়া হয়। তবে এর প্রায় অর্ধেক টাকা দিয়ে সিগনিফাই বাংলাদেশ নামের আরেকটি কোম্পানির মাধ্যমে কাজটি করিয়ে নেয় প্রোটোস্টার। অর্থাৎ কোনো রকম কাজ না করেই প্রকল্পের অর্ধেক টাকা পকেটে ভরেছে জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক আকরাম খানের মালিকানাধীন এ প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে ছয় মাস যাওয়ার আগেই সস্তায় কেনা সেসব বাতির অধিকাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। সেগুলোর নিচে এখন এনার্জি বাল্ব লাগিয়ে সড়ক আলোকিত রাখার চেষ্টা করছে সিটি করপোরেশন।

জানা গেছে, ডিএনসিসি জোন-৫-এর অধীনে ২৭, ২৮ এবং ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ ও ভিআইপি সড়কের আলোকায়নের জন্য সড়কবাতি স্থাপনের প্রকল্পটি নেওয়া হয়। এটি বাস্তবায়নের পরতে পরতে চলেছে ভয়াবহ লুটপাট। অনভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে দরপত্রের শর্ত পরিবর্তন এবং নিম্নমানের বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ লাগিয়ে প্রকল্পের মোট ব্যয়ের অর্ধেকই লুটপাট করা হয়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সাবেক ক্রিকেটার আকরাম খানের প্রতিষ্ঠান প্রোটোস্টার এই প্রকল্পে সড়কবাতি সরবরাহের কাজ পেলেও এর আগে তাদের কোনো অভিজ্ঞতাই ছিল না। তারা সিগনিফাই নামে যে কোম্পানির কাছ থেকে বাতি ও যন্ত্রাংশ কিনেছে সেই কোম্পানিটি এই প্রকল্পে দরপত্র জমা দিলেও যোগ্যতা না থাকায় আগেই বাদ পড়ে যায়।

নিম্নমানের সড়কবাতি কিনে টাকা লুট: প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের আমলে উত্তর সিটির এলাকার একটি অংশে এলইডি সড়কবাতি স্থাপনের উদ্যোগ শুরু হয়। ওই বছরের ২৪ জুলাই ‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় এলইডি সড়কবাতি সরবরাহ ও স্থাপন’ শীর্ষ এই প্রকল্পের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়। তবে একই বছরের ৩০ নভেম্বর মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যু হলে প্রকল্পটি থমকে যায়।

এরপর নানা পথ পেরিয়ে পরের বছরের ২০১৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় এলইডি সড়কবাতি সরবরাহ ও স্থাপন (প্রথম সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পটি একনেকের অনুমোদন পায়। এতে মোট ব্যয় ধরা হয় ৩৬৯ কোটি ১৪ টাকা।

অনুমোদিত প্রকল্পের আওতায় মোট প্যাকেজ ছিল ১৮টি। এর মধ্যে ১৪টি প্যাকেজের জন্য ২০২০ সালের ৬ এপ্রিল সংশোধিত দরপত্র আহ্বান করা হয়। এই ১৪টি প্যাকেজের বিপরীতে বরাদ্দ ছিল ৩২১ কোটি টাকা। এসব প্যাকেজের আওতায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডে পাঁচ ধরনের (ওয়াট ভেদে) ৪৬ হাজার ৪১০টি সড়কবাতি, ৮৩৭টি গ্রুপ কন্ট্রোল কেবিনেট স্থাপনসহ আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি সরবরাহের কথা বলা হয়। অর্থাৎ প্রতিটি বাতির সঙ্গে এটি বসানোর জন্য পোল এবং ফিটিংসও এই প্যাকেজের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এতে ৪০ ওয়াটের ২৫ হাজার ৬৬১টি, ৬০ ওয়াটের ১০ হাজার ৬৬৬টি, ৯০ ওয়াটের ৩ হাজার ২৯টি, ১২০ ওয়াটের ৩ হাজার ৬৪৬টি এবং ১৫০ ওয়াটের ৩ হাজার ৪০৮টি বাতি সরবরাহের কথা ছিল।

প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট নথি পর্যালোচনা ও ডিএনসিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাতি সরবরাহ ও মাঠ পর্যায়ে সেগুলো স্থাপনের দায়িত্বে ছিল সহযোগী ঠিকাদার প্রোটোস্টার লিমিটেড। জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমানে বিসিবির পরিচালক আকরাম খান।

জানা গেছে, ১৪টি প্যাকেজের কাজ পাওয়ার পর প্রোটোস্টার লিমিটেড সড়কবাতি সরবরাহের জন্য সিগনিফাই বাংলাদেশ লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়। সাবেক ফিলিপস বাংলাদেশই বর্তমানে সিগনিফাই বাংলাদেশ লিমিটেড।

ডিএনসিসির কাছ থেকে ৩২১ কোটি টাকার কার্যাদেশ পেলেও প্রোটোস্টার সাব-কন্ট্রাকে সিগনিফাইকে সেই কাজ দেয় প্রায় অর্ধেক টাকায়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রোটোস্টার সিগনিফাইকে কম টাকা দিয়ে নিম্নমানের মালপত্র নেওয়ায় সড়কবাতি লাগানোর এক মাসের মধ্যেই সেগুলো নষ্ট হওয়া শুরু হয়। এরই মধ্যে বেশিরভাগ বাতিই নষ্ট হয়ে গেছে।

নথিপত্র বিশ্লেষণ ও এই খাতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সিগনিফাইয়ের কাছ থেকে কেনা সড়কবাতিগুলো নিম্নমানের এবং বরাদ্দের অর্ধেকের চেয়েও কম টাকায় কেনা। ৪০ ওয়াটের এলইডি সড়কবাতি কেনার জন্য ডিএনসিসির বরাদ্দ ছিল ৩৮ হাজার ৫০০ টাকা। এই বাতির পুরো সেট প্রোটোস্টার লিমিটেড সিগনিফাইয়ের কাছ থেকে কেনা হয়েছে কমবেশি ১৭ হাজার টাকায়। সেই হিসাবে ২৫ হাজার ৬৬১টি সড়কবাতির পুরো সেট কেনায় সাড়ে ৫৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

৬০ ওয়াটের এলইডি সড়কবাতির পুরো একটি সেটের জন্য কার্যাদেশের মূল্য ছিল ৪২ হাজার ৯০০ টাকা। আর সিগনিফাই প্রতিটি সেট সরবরাহ করেছে প্রায় ১৮ হাজার টাকায়। এক্ষেত্রে ১০ হাজার ৬৬৬টি সড়ক বাতি কেনায় প্রায় ২৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

৯০ ওয়াটের এলইডি সড়কবাতির পুরো একটি সেটের জন্য কার্যাদেশের মূল্য ছিল ৪৭ হাজার ৩৫১ টাকা। আর সিগনিফাইয়ের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে প্রায় ২৪ হাজার টাকায়। সেই হিসাবে ৩ হাজার ২৯টি সড়কবাতিতে ৭ কোটি টাকার বেশি দুর্নীতি হয়েছে।

১২০ ওয়াটের এলইডি সড়কবাতির পুরো একটি সেটের জন্য কার্যাদেশের মূল্য ছিল ৫২ হাজার ৭৯২ টাকা। আর সিগনিফাই থেকে একটি সেট কেনায় খরচ হয়েছে সাড়ে ২৫ হাজার টাকা। সেই হিসাবে ৩ হাজার ৬৪৬টি সড়কবাতির সেট কেনায় প্রায় ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

১৫০ ওয়াটের এলইডি সড়কবাতির পুরো একটি সেটের জন্য কার্যাদেশের মূল্য ছিল ৬০ হাজার ৬৬০ টাকা। আর সিগনিফাই সরবরাহ করা হয়েছে প্রায় ২৭ হাজার টাকায়। এক্ষেত্রে ৩ হাজার ৪০৮টি সড়কবাতি স্থাপনে প্রায় ১১ কোটি আত্মসাৎ করা হয়েছে।

কাজ পেয়েছে আনিসুল হকের বাতিল করা প্রতিষ্ঠান:

জানা গেছে, প্রোটোস্টার লিমিটেড রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজের (আরজেএসসি) নিবন্ধ পায় ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর। এর মাত্র দুবছরের মধ্যে ২০২০ সালের আগস্টে প্রতিষ্ঠানটি ৩২১ কোটি টাকার কাজ পেয়ে যায়। এই কার্যাদেশ পাওয়ার আগে কোম্পানির সড়কবাতির কাজের কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না।

একাধিক কর্মকর্তা জানান, ২০১৭ সালে প্রকল্প গ্রহণ করে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে এটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছিলেন তৎকালীন মেয়র আনিসুল হক। এজন্য তিনি বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক কোম্পানির কাছ থেকে আগ্রহপত্রও নেন। সেই সময় যুক্তরাজ্যের থর্ন লাইটিংয়ের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়। স্মার্ট লাইটিং ব্যবস্থা করতে প্রতিটি লাইট পৃথক আইডেন্টিফিকেশন এবং সেন্ট্রালাইজড কন্ট্রোল নিশ্চিতকরণ, সেন্ট্রাল সফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রতিটি লাইটকে প্রি-প্রোগামড অন, অফ, ড্রিমিং ইত্যাদি করার মাধ্যমে বিদ্যুৎ সাশ্রয়, উচ্চ ক্ষমতার এলইডি লাইট ব্যবহারে (১৫০-১৭০ লুমেন ওয়াট প্রতি) বেশি আলো সরবরাহের মাধ্যমে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয়, রক্ষণাবেক্ষণ খরচ ৪০ থেকে ৪০ শতাংশ কমানো এবং স্ট্রিট লাইটের স্থায়িত্বকাল ১০ বছর করার মাধ্যমে অর্থের অপচয় কমানোই ছিল এর মূল উদ্দেশ্য।

২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে একনেকে অনুমোদনের পর পুনরায় টেকনোলজি ম্যানুফ্যাকচারার ও সাপ্লায়ার সিলেকশন চূড়ান্ত করা হয়। যাচাই-বাছাইয়ের পর দুটি প্রতিষ্ঠানকে শর্টলিস্টেড করে বাতির নমুনা বা স্যাম্পল চাওয়া হয়। শর্ট-লিস্টেড কোম্পানিগুলো ছিল আনিসুল হকের সময় নির্বাচিত থর্ন লাইটিং এবং নতুন হিসেবে সিগনিফাই।

অথচ আনিসুল হকের সময় সিগনিফাই কারিগরিভাবে অযোগ্য (টেকনিক্যালি ইনকম্পিট্যান্ট) বিবেচিত হয় এবং প্রাথমিক মূল্যায়নেই বাদ পড়ে যায়। কিন্তু আড়াই বছর পর শর্ত শিথিল করে সেই প্রতিষ্ঠানকেই বাতি সবরাহের সুযোগ করে দেওয়া হয়।

জানা গেছে, ওই সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে ইউরোপ বা আমেরিকায় তৈরি সর্বোচ্চ মান ও প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। সেক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের থর্ন কোম্পানির প্রস্তাবটি ছিল গ্রহণযোগ্য। কিন্তু ডিএনসিসির শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তার নির্দেশে সিগনিফাইকে ইউরোপের যে কোনো দেশ থেকে নমুনা বাতি সংগ্রহের জন্য অতিরিক্ত প্রায় ২ মাস সময় দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে পোল্যান্ড থেকে বাতি এন নমুনা জমা দেয় সিগনিফাই।

শর্ত শিথিলের লক্ষ্য লুটপাট:

প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের সময়ের এলইডি বাতি ক্রয়ের দরপত্রে শর্ত হিসেবে ১০ বছরের ওয়ারেন্টির কথা বলা হয়। কিন্তু প্রকল্পের কার্যাদেশ সংশ্লিষ্ট বিল অব কোয়ান্টিটি (বিওকিউ) পর্যালোচনায় দেখা যায়, সংশোধিত প্রকল্পে এলইডি সড়কবাতির টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশন থেকে ওয়ারেন্টি সংক্রান্ত শর্ত বাদ দেওয়া হয়। অবশ্য সিগনিফাইকে দেওয়া প্রোটোস্টার লিমিটেডের কার্যাদেশে ৫ বছরের ওয়ারেন্টির বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।

সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় যে, এলইডি সড়কবাতিসহ সব ধরনের বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের মান এবং দাম অনেকটাই নির্ভর করে ওয়ারেন্টির সময়কাল এবং মানের ওপর। ওয়ারেন্টি ১০ বছরের পরিবর্তে ৫ বছরের হলে পণ্যের মান এবং দামে বড় রকম পার্থক্য থাকবে। মূলত লুটপাটের রাস্তা তৈরি করতেই এই প্রকল্পে ওয়ারেন্টির শর্ত শিথিল করা হয়েছে বলে তাদের অভিমত।

ছয় মাসের মধ্যে সড়কবাতির বেহাল অবস্থা:

সড়কবাতি স্থাপনের এ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে ২০২৩ সালের জুনে। এর ছয় মাসের মধ্যেই প্রায় ৪ হাজার বাতির আলো পুরোপুরি নিভে গেছে। বাকিগুলোর অবস্থাও নিভুনিভু।

ডিএনসিসির প্রকৌশল বিভাগের তথ্য মতে, গত অক্টোবর পর্যন্ত ডিএনসিসির অঞ্চল-১ থেকে ৫ পর্যন্ত ৪ হাজার ৪৮৮টি ফিলিপস এলইডি বাতি বন্ধ ছিল, যা মোট বাতির ৯ দশমিক ১৯ শতাংশ। আর ভলকান বাতি বন্ধ ছিল ১ হাজার ৭০টি, যা মোট বাতির ৩২ শতাংশ।

প্রাপ্ত তথ্য বলছে, প্রকল্প শুরুর পর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত কয়েক ধাপে ১ হাজার ২৯৫টি ফিলিপস বাতি মেরামত করা হয়। এর পরও ডিসেম্বর পর্যন্ত ডিএনসিসির পাঁচ অঞ্চলে মোট ২ হাজার ৯১৬টি ফিলিপস এলইডি বাতি বন্ধ আছে। আঞ্চলিক গুদামে পড়ে আছে ১ হাজার ৮৫৬টি মেরামতযোগ্য বাতি। আর অঞ্চল-১ থেকে ৩ পর্যন্ত ডিসেম্বরে ভলকানের নষ্ট বাতি ছিল ১ হাজার ১৮৭টি। গুদামে পড়ে আছে মেরামতযোগ্য ১ হাজার ১৭টি বাতি।

এদিকে অকেজো বাতি দ্রুত সচল করতে ডিএনসিসি বন্ধ বাতির একটি সম্ভাব্য তালিকা তৈরি করেছে। এ তালিকায় ৩ হাজার ৭৮০টি বাতি চুক্তি অনুযায়ী প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও নিজেদের কারণে নষ্ট হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। ডিএনসিসির ৬ কোটি ২০ লাখ টাকা দরপত্রের মাধ্যমে কেনা মালপত্র দিয়ে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৭৫০টি বাতি সচল রাখা যাবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

সড়কবাতি প্রকল্পের বিপুল পরিমাণ অর্থ নয়ছয় ও নিম্নমানের কাজের বিষয়ে কথা বলার জন্য ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।

প্রকল্প পরিচালক ডিএনসিসির বিদ্যুৎ শাখার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কালবেলাকে বলেন, ‘এখানে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। বুয়েটের বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে পুরো কাজটি করা হয়েছে।’

Facebook Comments Box
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here