পুনঃতফসিল ইস্যুতে একই সুরে কথা বলছেন নির্বাচন কমিশন ও ক্ষমতাসীনরা। এদিকে, সরকার পতনের এক দফা আদায় না হলে তফসিল নিয়ে না ভাবার কথা সাফ জানিয়ে দিয়েছে বিএনপি। দলের সিনিয়র নেতাদের অভিযোগ, সরকার আবারো একতরফা নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, আত্মগোপনে না থেকে বিএনপির স্বাভাবিক রাজনীতিতে ফেরা উচিত।
ঘোষিত তফসিল অনুসারে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট ৭ জানুয়ারি। তবে ভোট বর্জনের ডাক দিয়ে হরতাল অবরোধের কর্মসূচি দিয়ে নিজেদের অবস্থানে অনঢ় বিএনপি। যদিও বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন দলটি যদি সিদ্ধান্ত বদলায় তাহলে কী হবে?
এরই মধ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে বিএনপির জন্য প্রয়োজনে তফসিল পেছানোর সুযোগ আছে; সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগেরও কোনো আপত্তি থাকবে না বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ভোটে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও শুরু থেকেই বিএনপির জন্য তফসির পেছানোর কথা বলে আসছে জাতীয় পার্টিও। এদিকে আরও বেশ কিছু রাজনৈতিক দলও তুলেছে একই সুর। এমন অবস্থায় কী ভাবছে বিএনপি?
দলটির যুগ্ম মহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলছেন, ইসি আর আওয়ামী লীগ একই সুরে কথা বলছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে তারা যে ষড়যন্ত্র করেছিল, সেই বিনাভোটে সরকার গঠনের একই ষড়যন্ত্রের দিকে আবারও এগোচ্ছে। ফলে নির্বাচনের এই ছেড়ে দেয়া ট্রেনে উঠার কোনো পরিকল্পনাই নেই বিএনপির। আপতত সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনেই ফোকাস তাদের।
এদিকে দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা কারাবন্দি হলেও চলছে হরতাল-অবরোধ। প্রকাশ্যে নেই বাকি নেতারা। এমন অবস্থায় রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. সাব্বির আহমেদ বলছেন, বাইরে থাকা নেতাদের সামনে এসে নামতে হবে মাঠে। কৌশলী হতে হবে রাজনীতির খেলায়।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে না এসে হরতাল-অবরোধের যে পথে বিএনপি হাঁটছে তাতে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা কম। বিএনপির উচিত স্বাভাবিক রাজনীতিতে ফিরে আসা। ক্ষমতার জন্য ধৈর্য ধরা।’ বিএনপি তাদের ভুল পরিকল্পনার মাশুল গুণছে বলেও মনে করেন সাব্বির আহমেদ।
সংবিধান মতে ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে কমিশনকে। সে অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছে তারা। গুছিয়ে আনছে সব প্রস্তুতি।