কেবল সিস্টেম লসের অজুহাতে বছরে অন্তত ৯শ কোটি লিটার পানির হিসাব থাকে না চট্টগ্রাম ওয়াসার। যা উৎপাদনের ৩০ ভাগ। এতে খরচ হয় ২৪ কোটি টাকার বেশি। ক্যাবের দাবি, নানা অজুহাতে এসব পানি নয়ছয়ের সঙ্গে জড়িত সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বন্দর নগরীতে পানির জন্য হাহাকার দীর্ঘদিনের। বিশেষ করে পতেঙ্গা, বাকলিয়া, কাট্টলিসহ শহরের প্রান্তিক এলাকায় পানির জন্য কষ্টে আছে মানুষ।
ওয়াসার তথ্য মতে, তাদের প্রতিদিন উৎপাদন ৫০ কোটি লিটার পানি। যার মধ্যে ৯২ ভাগ উৎপাদন হয় হালদা ও কর্ণফুলি নদীর পানি পরিশোধন করে, বাকিটা গভীর নলকূপের। তবে অবাক বিষয় হচ্ছে, উৎপাদিত পানির ৩০ ভাগ হাওয়া হয়ে যাচ্ছে।
সংস্থাটির দাবি, পাইপ লাইনে লিকেজ, অবৈধ সংযোগ, চুরি, মিটারের কারসাজির কারণে প্রতিবছর অন্তত ৯শ কোটি লিটার পানির হিসাব নেই। যাকে সিস্টেম লস বলছে সংস্থাটি। তাতে প্রতি হাজার লিটার ২৭ টাকা উৎপাদন খরচ ধরলে বছরে হদিস থাকে না ২৪ কোটি টাকার পানির। অথচ এই লোকসান সামাল দিতে আবারও পানির দাম বাড়াতে যাচ্ছে ওয়াসা।
এদিকে ক্যাবের দাবি, সিস্টেম লসের অজুহাতে ওয়াসার বিপুল পানি নয়ছয় হয়। যার সঙ্গে জড়িত সংস্থাটির বেশ কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী। কিন্তু এ সিস্টেম লস কমালে রোধ করা যেত সংস্থাটির ব্যয়। ফলে বাড়ানোর প্রয়োজন হত না পানির দাম।
ক্যাবের সহ সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, সিস্টেম লসের কথা বলে তারা বারবার দাম বাড়ায়। এছাড়া এই দাম বাড়ার দায়ভারটাও গ্রাহকদের ওপর চলে যায় কিন্তু এর দায়ভার তো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর পরা উচিত।
সিস্টেম লসের কথা স্বীকার করেছেন ওয়াসার এমডি। যা কমিয়ে আনতে নতুন মিটার বসানোসহ নানা উদ্যোগের কথা জানান তিনি।
চট্টগ্রাম ওয়াসার মোট গ্রাহক ৮৬ হাজার তিনশো ৯। যার মধ্যে আবাসিক গ্রাহক আছে ৭৮ হাজার ৫শ ৪২ আর ৭ হাজার ৭শ ৬৭ বাণিজ্যিক খাতে।