হরতাল ও সহিংসতায় খেই হারিয়েছে বিএনপি

0
101

নির্বাচন সামনে রেখে ২০২৩ সাল ঘিরেই সব পরিকল্পনা করেছিল বিএনপি। কিন্তু তারা কোনো সফলতা দেখতে পায়নি। বরং তাদের প্রতিটি সিদ্ধান্ত ছিল ভুলেভরা। আন্দোলন ছিল সহিংসতায় পরিপূর্ণ। সমমনা দলগুলোকে নিয়ে রাজপথে আন্দোলনেও সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, দলীয় কর্মীদের কাছ থেকে সাড়া মেলেনি।

বছর শেষে হতাশাগ্রস্তের মতো অনলাইনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তারা একের পর এক হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি দিচ্ছে। এ সময়ে বিভিন্ন গণপরিবহনে আগুন দিলে তাতে নিরীহ মানুষের প্রাণহানিসহ ক্ষয়ক্ষতির ঘটনাও ঘটছে।

বিপরীতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই এগিয়ে যাচ্ছে নির্বাচনের দিকে। বিএনপির নির্বাচন বর্জন কিংবা আন্দোলন সরকারকে ন্যূনতম চাপে ফেলতে পারেনি। বিদেশিদের কাছে ধরনা দিয়েও ফলপ্রসূ কিছু করতে না পেরে খেই হারানো বিএনপি এখন নানামুখী চাপ সামলাতেই ব্যস্ত।

আসল জায়গাতেই বিএনপি ভুল করেছে বলে মনে করেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ। নির্বাচনী বছরে বিএনপি কী অর্জন করতে পেরেছে, জানতে চাইলে সময় সংবাদকে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে যেই ধরনের আন্দোলন করা দরকার, বিএনপি তার মূল জায়গায় ভুল করেছে। তারা আন্দোলনের চেয়েও নানা রকম চক্রান্তে লিপ্ত ছিল। তারা ষড়যন্ত্রমূলক বিভিন্ন রাজনৈতিক কলাকৌশল নিয়ে বেশি ব্যস্ত ছিল।

সিনিয়র এ সাংবাদিক আরও বলেন, মাঠের আন্দোলন কিংবা জনগণকে সম্পৃক্ত করার বিষয় হোক বা দাবি আদায়ের আন্দোলনের মানুষকে বোঝানোই থাকে রাজনৈতিক দলগুলোর লক্ষ্য। গত এক বছরের আন্দোলনে খালেদা জিয়ার মুক্তি কিংবা মামলা প্রত্যাহার করে তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনাই ছিল তাদের মূল দাবি।

কিন্তু এ দাবিতে তারা বিভিন্ন সময় ভাঙচুর ও সহিংসতার রাজনীতি করায় সাধারণ মানুষের কাছ থেকে সাড়া মেলেনি জানিয়ে এই সিনিয়র সাংবাদিক বলেন, কর্মীদের উদ্দীপনাও তারা ধরে রাখতে পারেনি, তারা আন্দোলনের চেয়েও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। তাদের আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নেওয়ায় শান্তিপূর্ণ মানুষ তা মেনে নিতে পারেননি।

“জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে তাদের আন্দোলনের মিল ছিল না। সবচেয়ে বড়ো কথা, একটি রাজনৈতিক দলের লক্ষ্য থাকে আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণকে সংগঠিত করা এবং নিজেদের রূপরেখা তুলে ধরে ভোটে অংশগ্রহণ করা। কিন্তু মাথার ভিতরে তারা ভোটবর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে।”

ভোটের মাধ্যমে আরেকটি সরকার আসুক, এটা তারা চাচ্ছে না জানিয়ে কুদ্দুস আফ্রাদ বলেন, বিএনপির লক্ষ্য ভোট থাকলে হয় সরকার গঠন কিংবা বিরোধী দলের মর্যাদা অর্জন করতে পারতো। কিন্তু ভোটবর্জনই তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল। বিভিন্নভাবে তারা সেই নমুনাও প্রদর্শন করেছে। অকারণে তারা নিজেদের সংসদ সদস্যদের পদত্যাগ করিয়েছে। এতে তারা ভোটারদের মন জয় করতে পারেনি।

বিএনপি অতীতে ফিরে যেতে চায়
বিএনপি অগ্রগতিকে সহ্য করতে পারছে না জানিয়ে কুদ্দুস আফ্রাদ বলেন, তারা পুরো অতীতে ফিরে যেতে চায়। যে কারণে তারা বলছে ‘টেক ব্যাক ব্যাংলাদেশ’। কিন্তু বর্তমান সরকারের ত্রুটিবিচ্যুতি থাকলেও তারা গণমুখী। সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি নিয়েছে, নানাভাবে মানুষের জীবনমানের উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে, যে কারণে আওয়ামী লীগকে কোণঠাসা করতে পারেনি বিএনপি। আর এটা আঁচ করতে পেরেই নির্বাচনের পথে যায়নি বিরোধী দলটি।

এছাড়াও মানুষ এখন ডিজিটাল জীবন ব্যবস্থায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে; সাধারণ মানুষ বিএনপির অ্যানালগ পরিকল্পনা পছন্দ করে না। বিজ্ঞান ও আধুনিক এই জীবনকে এখনো বিএনপি গ্রহণ করতে পারেনি। এটাও বিএনপির একটা ব্যর্থতা।”

বিএনপি কীভাবে অতীতে ফিরে যেতে চায়, সেই ব্যাখ্যা দিয়ে এই সিনিয়র সংবাদিক বলেন, বিএনপি বলছে, টেক ব্যাক বাংলাদেশ, অর্থাৎ তারা পুরোনো আমলে ফিরে যেতে চাচ্ছে। কিন্তু গেলো ৫২ বছরে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। কিন্তু একটা অগ্রবর্তী বাংলাদেশ বিএনপি চাচ্ছে না। তারা পিছনে ফিরে যেতে চাচ্ছে। এই পিছনমুখী চিন্তার কারণেই বিএনপির সঙ্গে মানুষের সম্পৃক্ততা থাকছে না।
কুদ্দুস আফ্রাদ আরও বলেন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান যেহেতু ভোটের রাজনীতিতে আসতে পারবে না, যে কারণে নেতৃত্ব রক্ষার জন্য তারা নিজেদের দলকেও ভোটের বাইরে রাখছে। বিএনপির অন্য নেতারা বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারলেও তারা মুখ খুলতে পারছে না।

বিএনপির ভাঙন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শাহজাহান ওমর ও তৈমুর আলম খন্দকারদের মানসিকতার লোক বিএনপিতে আরও থাকলেও তারা বিদ্রোহ করতে পারছে না। যে কারণে কেউ মেনে, কেউ না মেনে বিএনপিতে পড়ে আছে।

রাজনৈতিক শক্তি হারাচ্ছে বিএনপি
পরপর তিনটি নির্বাচন বর্জন করায় সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে বিএনপি। এমনটিই মনে করছেন সিনিয়র সাংবাদিক ও গবেষক অজয় দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, একটি রাজনৈতিক দল পরপর তিনবার নির্বাচন বর্জন ও প্রতিহতের চেষ্টা করেছে। ২০২৪ সালের নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা দিলেও তাতে কোনো সাড়া পাচ্ছে না।

তিনি বলেন, বিএনপিরই সমর্থক দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেছেন যে অবস্থা দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে ‘জয়লাভের নিশ্চয়তা না পেলে বিএনপি কোনো নির্বাচনে আসবে না’। এটা তো কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হতে পারে না। পেট্রোল বোমা, ভয়ভীতি, রেলে নাশকতা, বাস পুড়িয়ে দেওয়ার বাইরে বিএনপির কিছু করার নেই। আর ২০১৪ সালের নির্বাচন বয়কট করার সময় বিএনপি যতটুকু করতে পেরেছিল, এখন সেটুকু করারও সক্ষমতা নেই দলটির।

অজয় দাশগুপ্ত বলেন, তাদের সাংগঠনিক শক্তি নেই। আর এখন সহিংসতা করতে গেলে তারা জনরোষের মুখে পড়বেন। এমনকি বিএনপির নির্বাচন বর্জন নিয়ে মানুষ আলোচনা করে না, আলোচনা করে স্বতন্ত্র প্রার্থী কারা হবেন বা তৃণমূল বিএনপির কারা প্রার্থী হবেন, তাদের নিয়ে।

এই গবেষক আরও বলেন, যারা নির্বাচন ঘোষণা দিয়ে বর্জন করেছেন, তাদের কথা মানুষ বলেন না। আর বিএনপির আন্দোলন বলতেই সহিংসতা। গেল বছর ১০ ডিসেম্বর গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ করেছে বিএনপি, এরপর ২৮ অক্টোবর দলীয় কার্যালয়ে সমাবেশ করেছে। এ বছর ১০ ডিসেম্বর তারা প্রেসক্লাবের সামনের ফুটপাতে তারা মানববন্ধন করেছে। তারা এক বছরের মাথায় গোলাপবাগ মাঠ থেকে প্রেসক্লাবের ফুটপাতে চলে এসেছে।

তারেক রহমানের ভুলনীতির কারণেই এমনটা হচ্ছে। মানুষকে তো বটেই, দলকেও উজ্জীবিত করতে পারছেন না তিনি।

হরতাল অবরোধ দিয়েও বিএনপি নির্বাচন প্রতিহত করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ২০১৪ সালেও নির্বাচন প্রতিহত করার অনেক চেষ্টা হয়েছিলো। নির্বাচন প্রতিহত করে বিএনপি গণতন্ত্রের যাত্রাকে প্রতিহত করতে চেয়েছিলো, তারা পারেনি। ২০১৮ সালেও সেই অপচেষ্টা ছিলো, সেটিও পারেনি। এখন বিএনপির শক্তি, সামর্থ্য, ক্ষমতা ২০১৪ এবং ২০১৮ তুলনায় অনেক কম।

যুগপৎ আন্দোলনের ব্যর্থতা
গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর বিএনপি নেতৃত্বাধীন একযোগে আন্দোলনে ৩৬টি দল ও জোট যোগ দেয় এবং পরে আরও কয়েকটি দল যোগ দেয়। সরকার পতন এ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে গেলো বছরের ২৪ ডিসেম্বর থেকে মিত্রদের নিয়ে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করে বিএনপি। ঢাকার বাইরে ২৪ ডিসেম্বর ও ঢাকায় ৩০ ডিসেম্বর গণমিছিলের মাধ্যমে যুগপৎ আন্দোলন মাঠে গড়ায়। কিন্তু অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে বিভক্ত হয়ে পড়ে জোটের শরিকরা।

এরপরও পদযাত্রা, গণঅবস্থান, গণসমাবেশ মানববন্ধন ইত্যাদি কর্মসূচি নিয়ে গত রমজান পর্যন্ত যুগপৎ আন্দোলনের অভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থেকেছে বিএনপি ও মিত্রদলগুলো। যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর ৯ বিভাগীয় শহরে এবং ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণমিছিল, ১১ জানুয়ারি অবস্থান কর্মসূচি এবং ১৬ জানুয়ারি বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ-সমাবেশ করে।

একদফা আন্দোলন
গেলো ১২ জুলাই বিএনপি ও সমমনা দলগুলো এক দফা আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেয়। বিএনপির এক দফা আন্দোলনের মূল টার্গেট ছিল ঢাকা। বড় সমাবেশ করে সরকার পতনের অভিন্ন একদফা আন্দোলন গড়ে তুলতেই নানা পরিকল্পনা নিয়েছিল তারা।

তখন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একইসঙ্গে ১৮ জুলাই সারাদেশের জেলা-মহানগরে পদযাত্রা কর্মসূচির ঘোষণা দেয়।রাজধানীতে ঢাকায় গাবতলী থেকে যাত্রাবাড়ি পর্যন্ত পদযাত্রা কর্মসূচি দিয়েছিল।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের একটাই দাবি, এই সরকারের পতন এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন।

বর্তমান সংসদ বিলুপ্ত করা এবং নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠান-ও ১ দফার অন্তর্ভুক্ত। বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক ঐতিহাসিক মূহুর্তে আজকের ঘোষণা। এ ঘোষণা জাতিকে মুক্ত করার, জাতির হারানো গণতন্ত্র ফিরে পাওয়া ঘোষণা।

একদফা দাবিতে ২৯ জুলাই ঢাকার প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুরনো ঢাকার নয়াবাজার, ধোলাইখাল ও সাইনবোর্ড এলাকায় পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের ধাওয়ায় ছত্রভঙ্গ হয়ে গেছে উত্তরায় জড়ো হওয়া নেতাকর্মীরাও। বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষের সময় পুলিশের গাড়িসহ গণপরিবহনেও আগুন দিয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
গাবতলীতে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় পুলিশের হাতে আটক হন বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান। তখন তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে ঢাকার জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়।

পরে চিকিৎসাধীন আমানউল্লাহ আমানকে দেখতে যান প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-২ গাজী হাফিজুর রহমান। সেই প্রতিনিধি দল আমানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো দুপুরের খাবার, নানা ধরনের ফল এবং ফলের রসসহ একটি উপহারের ঝুড়ি তুলে দেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে প্রতিনিধি দলটি তাকে দেখতে গিয়েছে।

২৮ অক্টোবরের সমাবেশে সহিংসতা
রাজপথে ব্যাপক সংঘর্ষ-সহিংসতা ও পুলিশ সদস্য হত্যার জেরে বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর থেকে রাজনীতিতে ফিরে এসেছে সহিংসতা। তাতে ডজনখানেক মানুষের প্রাণ গেছে। যানবাহনে অগ্নিংযোগ আর নাশকতার ঘটনায় জনমনে বাড়ছে শঙ্কা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সহিংসতার যে চিত্র দেখা গেছে, বিশেষ করে পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা এবং পরে বাসে আগুন দেয়ার ঘটনায় বিএনপির ওপরই চাপ তৈরি হয়েছে। এ ঘটনার পর বিএনপির ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।

আবার ২৮ অক্টোবর আন্দোলনে সহিংসতার পথ বেছে না নিলে তারা আলো ভালো করতে পারতো বলে মনে করেন কুদ্দুস আফ্রাদ। তিনি বলেন, সহিংসতার পথ বেছে নেওয়ার কারণে জনগণের কাছ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বিএনপি।

গেল ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। সে অনুসারে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী সাতই জানুয়ারি। তফসিল ঘোষণাকালে সিইসি বলেন, ‘রাজনৈতিক মতানৈক্যের সমাধান প্রয়োজন। আমি সব রাজনৈতিক দলকে বিনীতভাবে অনুরোধ করব, সংঘাত পরিহার করে সমাধান অন্বেষণ করুন। সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতা ও সমাধান অসাধ্য নয়।

Facebook Comments Box
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here