বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে চিনির দাম। বুধবার (৩০ আগস্ট) ইন্টারকন্টিনেন্টাল এক্সচেঞ্জে (আইসিই) খাদ্যপণ্যটির দর আরেক দফা বেড়েছে। এতে গত ১ যুগের মধ্যে মূল্য সর্বোচ্চ স্তরে উঠেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী বাণিজ্যিক সংবাদমাধ্যম নাসডাকের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে বলা হয়, শুষ্ক আবহাওয়ায় বিশ্বের দুই শীর্ষ উৎপাদক ভারত ও থাইল্যান্ডে চিনির উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে। এছাড়া ইতোমধ্যে কিছু দেশ ভোগ্যপণ্যটি রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে।
ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে সরবরাহ সংকট সৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে চিনির দাম ব্যাপক বেড়েছে। বিগত ১২ বছরের মধ্যে যা সবচেয়ে বেশি।
এদিন আইসিই’তে অপরিশোধিত চিনির দর সামান্য পরিবর্তিত হয়েছে। প্রতি পাউন্ডের মূল্য নিষ্পত্তি হয়েছে ২৫ দশমিক ৩৪ সেন্টে।
এর আগে তা গত ২ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে উঠেছিল। ওই সময় পাউন্ডপ্রতি দাম ছিল ২৫ দশমিক ৯০ সেন্টে।
একই কার্যদিবসে আগামী অক্টোবরের সরবরাহ মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ৫ ডলার ১০ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ। প্রতি মেট্রিক টনের দর স্থির হয়েছে ৭৩০ ডলারে।
এর আগে যা বিগত ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছিল। মেট্রিক টনপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছিল ৭৪০ ডলার ২০ সেন্টে।
বিশ্বের শীর্ষ চিনি রপ্তানিকারক ভারত। গত ৮ বছরের মধ্যে এবার দেশটিতে সবচেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে সেখানে আখ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আসছে অক্টোবরে ভারতে বিপণন বর্ষ শুরু হবে। সেসময় থেকে চিনি রপ্তানি নিষিদ্ধ করতে পারে দেশটির সরকার।
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ চিনি সরবরাহকারী থাইল্যান্ড। দেশটিতেও আবহাওয়া শুষ্ক রয়েছে। এল নিনোর বিরুপ প্রভাব পড়েছে পাকিস্তানেও। এই মুহূর্তে চিনি রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার চিন্তাভাবনা করছে দেশটিও।
বিশ্বখ্যাত আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্রোকার জারনিকৌর পণ্য বিশ্লেষণের প্রধান স্টিফেন গেল্ডার্ট বলেন, পাকিস্তান বিশ্বের বৃহৎ চিনি রপ্তানিকারক বা সরবরাহকারী দেশ নয়। তবু ভারতের মতো চিন্তাভাবনা করছে তারা।