রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করে বেশ ফুরফুরে মেজাজেই ভারতে খেলতে গেছে বাংলাদেশ। কিন্তু সেই বাংলাদেশকে দুই টেস্টেই রীতিমতো হেসেখেলে হারিয়েছে স্বাগতিক ভারত। চেন্নাইয়ে সিরিজের প্রথম টেস্টে সফরকারীদের ২৮০ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। আর দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে ভারত।
পুরো সিরিজেই দাপট দেখিয়েছে বোলাররা। দুই দলের বোলারদের পরিসংখ্যানই তা বলে দিচ্ছে। বিশেষ করে ভারতীয় বোলারদের সামনে টিকতেই পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটররা। দুই ম্যাচে চার ইনিংসে বাংলাদেশের তিনজন ব্যাটার পঞ্চাশোর্ধ রান করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে একটি সেঞ্চুরি। নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাদমান ইসলাম করেছেন হাফ-সেঞ্চুরি, মুমিনুল করেছেন সেঞ্চুরি। তা ছাড়া আর কোনও ব্যাটার ৫০-এর ঘরে পৌঁছাতে পারেননি।
বাংলাদেশের হয়ে পুরো সিরিজে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আর ভারতের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান যশস্বী জয়সওয়ালের, ১৮৯। সিরিজ শেষে ব্যাটিং-বোলিংয়ে কারা সেরা, চলুন দেখা নেয়া যাক।
দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি রান শান্ত’র, ১৫২। ১২২ রান করে দ্বিতীয় স্থানে আছেন মুমিনুল হক। তার সর্বোচ্চ রান ১০৭*। ১১১ রান নিয়ে তালিকায় তিন নম্বরে আছেন সাদমান ইসলাম। সবচেয়ে বেশি যার কাছ থেকে আশা করা হয়েছিল, সেই মুশফিকুর রহিমের রান মোটে ৬৯।
সাকিব আল হাসানও ভাল করতে পারেননি। ৪ ইনিংসে তিনি রান করেছেন মোট ৬৬। এক ইনিংসে তার সর্বোচ্চ ৩২ রান। মেহেদী হাসান মিরাজের মোট রান ৬৪। জাকির হাসান, লিটন দাস ও হাসান মাহমুদ যথাক্রমে করেছেন ৪৬, ৩৭ ও ২১ রান। তাসকিন আহমেদ, নাহিদ রানা, তাইজুল ইসলাম ও খালেদ আহমেদ খেলেছেন একটি ম্যাচ। এক ম্যাচেই তাদের রান যথাক্রমে ১৬, ১১, ৫, ৫।
বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে অবশ্য সবার উপরে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৬১.৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে উইকেট নিয়েছেন মোট ৯টি। হাসান মাহমুদ ৩৯.২ ওভার বোলিং করে উইকেট নিয়েছেন মোট ৬টি। ২৮ ওভার বোলিং করে তাসকিনের উইকেট মোট ৪টি। ৩৫ ওভার হাত ঘুরিয়ে সাকিব আল হাসান নিয়েছেন ৪ উইকেট। ২৪ ওভারে ৫১.৫০ গড়ে নাহিদ রানার উইকেট সংখ্যা মোট দুটি। এছাড়া ১২.২ ওভার হাত ঘুরিয়ে তাইজুল নিয়েছে এক উইকেট।
ভারতের হয়ে সবচেয়ে বেশি (১৮৯) রান করেছেন যশস্বী জয়সওয়াল। ভারতের হয়ে দুই ম্যাচে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন তিন জন ব্যাটার, শুভমান গিল, রিশভ পন্ত ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। শুভমান গিল ৪ ইনিংসে করেছেন মোট ১৬৪ রান। তিন নম্বরে থাকা রিশভ পন্ত করেছেন ১৬১ রান। চারে আছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন, তার রান ১১৪। অবশ্য অশ্বিন খেলেছেন এক ম্যাচ।
লোকেশ রাহুল ব্যাট করেছেন ৩ ইনিংসে, মোট রান করেছেন ১০৬। বিরাট কোহলি ৪ ইনিংসে মোট রান করেছেন ৯৯। এক ম্যাচে দুই ইনিংসে ব্যাট করে রবীন্দ্র জাদেজার মোট রান ৯৪। রোহিত শর্মা অবশ্য এই সিরিজে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। ৪ ইনিংসে মোট ৪২ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে।
বল হাতে পুরো সিরিজে বেশ দাপট দেখিয়েছেন ভারতের বোলাররা। ৪৯ ওভার বোলিং করে যশপ্রীত বুমরাহ উইকেট নিয়েছেন ১১টি। রবিচন্দ্রন অশ্বিনও নিয়েছেন ১১ উইকেট। রবীন্দ্র জাদেজা ৪২.৩ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৯ উইকেট নিয়েছেন। আকাশ দীপের ৫টি ও মোহাম্মহদ সিরাজের উইকেট সংখ্যা ৪টি।