ভূমি উন্নয়ন কর দেয়ার সময় পরিবর্তন

0
82

ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের সময়কাল পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।
শনিবার (৮ জুন) রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে ভূমিসেবা সপ্তাহ-২০২৪ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। ছবি: সংগৃহীত

শনিবার (৮ জুন) রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে ভূমিসেবা সপ্তাহ-২০২৪ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন তিনি।

ভূমিমন্ত্রী বলেন, প্রচলিত অর্থবছরের সঙ্গে সমন্বয় করে এখন থেকে কর আদায়ের সময় হবে প্রতিবছরের ১ জুলাই খেকে ৩০ জুন পর্যন্ত। কর আদায় প্রক্রিয়া অধিকতর সুষম, স্বচ্ছ ও কার্যকর করতে এ পরিবর্তন আনা হয়েছে।

ভূমিসচিব মো. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ভূমিসেবা সপ্তাহ আগামীকাল রোববার ৯ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত চলবে। সারা দেশের ভূমি অফিস, এসি ল্যাড অফিস ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আজ থেকেই এ কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। তবে ঢাকার এসি ল্যান্ড ও ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ায় ঢাকায় আজ এ কর্মসূচি পালন করা হয়নি। রোববার থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে একযোগে ভূমি সপ্তাহ পালন করা হবে।

অনুষ্ঠানে বলা হয়, এর আগে বাংলা বছরের পহেলা বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হত, যা জাতীয় অর্থবছরের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না।

ভূমিমন্ত্রী বলেন, কর আদায়ের এই নতুন সময়সূচি দেশের ভূমি রাজস্ব আহরণ ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী ও গতিশীল করবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য বাস্তবায়নে ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার এবং ভূমি সংক্রান্ত জনবান্ধব সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে মন্ত্রণালয়।

অনুষ্ঠানে ভূমিসচিব বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয় বিভিন্ন আইনি ও প্রশাসনিক জটিলতা দূর করেছে এবং নতুন জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এই পদক্ষেপ ভূমি মন্ত্রণালয়ের কাজ আরও সহজ করবে। জনগণকে দ্রুত ও সুষ্ঠুভাবে জমি সংক্রান্ত সেবা প্রদানে সহায়তা করবে। নতুন জনবল নিয়োগের ফলে মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে।

অন্য বক্তারা বলেন, অনলাইনে জমির মালিকানার তথ্য রয়েছে প্রায় ৬ কোটি ৪০ লাখের বেশি। ডাক বিভাগের মাধ্যমে নাগরিকের ঠিকানায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৮ লাখের বেশি খতিয়ান পৌঁছে দেয়া হয়েছে। বিদেশ থেকে সরাসরি ০৯৬১২৩১৬১২২ নম্বরে ফোন করে অথবা ভূমিসেবা পোর্টাল https://land.gov.bd/ অথবা ই-খতিয়ান মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সরাসরি আবেদন করলে খতিয়ান ও মৌজা ম্যাপের সত্যায়িত কপি ১৯২টি দেশে নাগরিকের নিজ নিজ ঠিকানায় পাঠানোর ব্যবস্থা রয়েছে। কোনো খতিয়ান থেকে জমি নামজারি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মেশিন লার্নিংয়ের মাধ্যমে মূল খতিয়ান থেকে ধারাবাহিকভাবে সৃষ্ট নতুন খতিয়ানের ধারাবাহিক ক্রম প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভূমি আপিল বোর্ডর চেয়ারম্যান এ কে এম শামিমুল হক ছিদ্দিকী, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুস সবুর মন্ডল, ঢাকার জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান প্রমুখ।

Facebook Comments Box
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here