আমাদের সুশীল বাবুরা কই এখন, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

0
84

পুলিশ-সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি পেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, কিছু হলেই যারা বিবৃতি দেয়, তারা এখন কোথায়? আমাদের সুশীল বাবুরা কই এখন?

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের পান থেকে চুন খসতে পারবে না, তাদের কণ্ঠে অনেক জোর থাকে। আর যারা সত্যিকার অপরাধী, তারা কিছু করলে তাদের কণ্ঠে স্বর থাকে না। বিড়ালের মতো একটু মিউ মিউ করলেও বুঝতাম, মিউ মিউ করছে। কিন্তু তাও করে না। এটাই হচ্ছে বাস্তব কথা।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব জার্নালিস্টসের (বিএফইউজে) প্রতিনিধি সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

সরকারপ্রধান বলেন, কিছু হলেই সুশীল বাবুরা চিৎকার করে ওঠে। সেই সুশীলদের কাজ কি আওয়ামী লীগের দোষ খুঁজে বেড়ানো? আর আওয়ামী লীগের কেউ কিছু করলে সেটাকে বড় করে দেখানো? আজ তারা চুপ কেন?

আমাদের সুশীল বাবুরা কই এখন, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর
নাশকতাকারীদের আশ্রয় দিলে হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা : র‌্যাব
শেখ হাসিনা বলেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপি ও অন্যান্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দল সমাবেশ করতে চেয়েছিল। আমরা বাধা দেই নাই। তারা কথা দিয়েছিল শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করবে। কিন্তু দেখা গেল শান্তিপূর্ণ না, সেখানে তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেছে। সেখানে আমাদের কেউ ছিল না, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আমার নির্দেশ ছিল একেবারে দূরত্বে থাকা…. সেখানে সাংবাদিকদের ওপর যে নির্যাতন চালানো হয়েছে তা অমানবিক। আমার মনে হয়, সাংবাদিকদের মাটিতে ফেলে পেটানোর ন্যক্কারজনক ঘটনা বাংলাদেশে আর হয়নি। এটা কেন করা হলো? সে প্রশ্নের জবাব তো বিএনপিকে দিতে হবে।

তিনি বলেন, ২০১৩-২০১৪ সালেও তারা অগ্নিসন্ত্রাস করেছিল নির্বাচন ঠেকাতে, কিন্তু পারেনি। নিজেরাও অংশগ্রহণ করেনি। হত্যা, গুম, খুন— তারা খুব ভালো পারে। পুলিশ হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে হামলা, অ্যাম্বুলেন্সে হামলা করার মতো অমানবিক আচরণ একটা রাজনৈতিক দলের হয় না। আপনারা বোধহয় ভুলে যাননি, বিএনপির আমলে প্রেসক্লাবে পুলিশ ঢুকিয়ে দিয়ে সাংবাদিকদের পেটানো হয়েছিল। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডই এদের চরিত্র। পুলিশ-সাংবাদিকের ওপর যেভাবে আক্রমণ করা হয়েছে এর তীব্র নিন্দা জানাই। দেখলাম আমাদের কোনো কোনো পত্রিকা তাদেরকে কাভার দেওয়ার চেষ্টা করে, তাদের ধিক্কার জানাই, তাদের ধিক্কার জানাই।

সরকারপ্রধান আরও বলেন, দেশের মানুষের তুলনায় সংবাদপত্র অনেক বেশি, অনেক উন্নত দেশেও তা নাই। বর্তমানে আমাদের পত্রিকার সংখ্যা ৩২৪১টি। অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল রয়েছে ৩৮৭টি। বাংলাদেশ টেলিভিশনের পাশাপাশি ৩৩টি টেলিভিশন সম্প্রচারে রয়েছে।

বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে এই সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। বিএফইউজে মহাসচিব দীপ আজাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন।

Facebook Comments Box
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here