ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সংঘাতের বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার সময় এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।
গাজায় ইসরাইলের হামলার বিষয়ে কথা বলার পরিবর্তে এখন পদক্ষেপ নেয়ার সময় এসেছে বলে জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।
শুক্রবার (১১ নভেম্বর) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে দ্য জেরুজালেম পোস্ট এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলে নির্বিচারে হামলার প্রেক্ষাপটে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করেছে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি)। রোববার (১২ নভেম্বর) এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে যুদ্ধের বিষয়ে আরব লীগ নেতাদের জরুরি বৈঠকের একদিন পর রোববার এই সম্মেলন হওয়ার কথা।
ওআইসি গাজায় বেসামরিক মানুষদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং এটি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে।
শনিবার সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা হওয়ার সময় তেহরানের বিমানবন্দরে ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, গাজায় ইসরাইলের হামলার বিষয়ে কথা বলার পরিবর্তে এখন পদক্ষেপ নেয়ার সময় এসেছে।
তিনি বলেন, গাজা নিয়ে এখন কথা বলার পরিবর্তে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, আজকে ইসলামী দেশগুলোর ঐক্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এর আগে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুলহাইয়ান ইসরােইল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গাজার নাগরিকদের বিরুদ্ধে তীব্র যুদ্ধের কারণে সংঘাতের পরিধি বাড়ার সম্ভাবনা এখন অনিবার্য।
তিনি আরও বলেন, ইসরাইলের আগ্রাসন বন্ধ, অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন এবং গাজার অবরোধ ও যুদ্ধবিধ্বস্ত জনগণের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে কীভাবে রাজনৈতিক উপায় ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে দুই দেশ আলোচনা করেছে।
শুক্রবার ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে দেশটি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা নিউজ জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে গাজা ও পশ্চিম তীর মিলে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ২০৮ জনে। আহত হয়েছে আরও অন্তত ২৯ হাজার ৫০০ জন।
নিহতদের মধ্যে ১১ হাজার ২০৫ জন গাজার এবং পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে মারা গেছে আরও ১৮৩ জন। এছাড়া গাজায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২৭ হাজার এবং পশ্চিম তীরে আহতের সংখ্যা আড়াই হাজারের অধিক।