কৃষ্ণসাগরে অবস্থানরত রাশিয়ার নৌবহরের অংশ একটি টহল জাহাজ ডুবিয়ে দেয়ার দাবি করেছে ইউক্রেন। এতে সাতজন নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ভোরে সের্গেই কোতোভ নামের জাহাজটিতে আঘাত করা হয়।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, নৌ ড্রোন ব্যবহার করে সের্গেই কোতোভ নামের জাহাজটিতে হামলা চালানো হয়েছে। এই জাহাজটির মূল্য হলো ৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার। যা বাংলাদেশি অর্থে ৭০০ কোটি টাকারও বেশি।
ইউক্রেনের গোয়েন্দা অধিদফতর বলেছে, ‘রাশিয়ার আরেকটি জাহাজকে সাবমেরিনে পরিণত করা হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষ শাখা ‘গ্রুপ ১৩’ রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর বহরের টহল জাহাজে হামলা চালিয়েছে। মাগুরা ভি৫ নৌ ড্রোন দিয়ে চালানো হামলায় রুশ জাহাজ সার্গেই কোতোভের পেছনে, ডানে এবং বামের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভালো কিছু দিয়ে দিনটি শুরু হয়েছে। অসাধারণ কাজ, যোদ্ধারা।’
পরবর্তীতে মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে একটি ভিডিও প্রকাশ করে ইউক্রেনের এই গোয়েন্দা সংস্থা। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, যুদ্ধজাহাজ লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে ড্রোন। হামলায় পুরো জাহাজটি আলোকিত হয়ে যায়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির চিফ অব স্টাফ আন্দ্রে ইয়ারমাক টেলিগ্রামে বলেন, ‘রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর বহর হলো একটি দখলদারিত্বের প্রতীক। এটি ইউক্রেনের ক্রিমিয়ায় থাকতে পারবে না।’
এদিকে ক্রেমলিন এখনো ইউক্রেনের দাবির ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি। কিছু রুশ ব্লগার সের্গেই কোটভের ডুবে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে স্বাধীনভাবে জাহাজের ক্ষতির পরিমাণ যাচাই করা যায়নি।
গত মাসে ইউক্রেন ক্রিমিয়ার কাছে রাশিয়ার আরেকটি জাহাজ ডুবিয়ে দেয়ার দাবি করেছিল। ওই হামলায়ও ব্যবহার করা হয়েছিল একটি ড্রোন। হামলায় জাহাজটি বাম অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং পরবর্তীতে এটি ডুবে যায়।