আকস্মিকম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। তবে ক্রীড়ামোদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ২৮ ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও জাতীয় দলে ফেরার ঘোষণা দেন টাইগার ওয়ানডে দলের এই অধিনায়ক। আপাতত নিজের পূর্ণাঙ্গ ফিটনেস ফিরে পেতে দেড় মাসের ছুটিতে আছেন দেশসেরা এই ওপেনার।
যদিও তামিম টাইগার দলে ফিরে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। ক’দিন আগে গণমাধ্যমকে এক সাক্ষাৎকারে বাঁ-হাতি এই ব্যাটার জানিয়েছিলেন, লন্ডনে ছুটি ও চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি। তবে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানালেন বিশ্বকাপে তামিমই ক্যাপ্টেন্সি করবেন।
রোববার (২৩ জুলাই) টাইগ্রেস টিম হোটেলে গিয়ে বাংলাদেশ নারী নারী ক্রিকেট দলের জন্য ৩৫ লাখ টাকা বোনাসের ঘোষণা দেন পাপন। এরপর তামিম প্রসঙ্গে বিসিবি বস বলেন, ‘তামিম আমাদের ওয়ার্ল্ডকাপের ক্যাপ্টেন। ও না থাকায় লিটন ক্যাপ্টেন্সি করেছে। ও যদি ফেরত আসে ও করবে, না হলে অন্য কেউ করবে।’
বেশ কয়েকটা সিরিজ থেকেই পিঠের ব্যথায় ভুগছিলেন তামিম ইকবাল। সর্বশেষ সিরিজগুলোতেও তাকে অস্বস্তি নিয়ে ম্যাচ এবং অনুশীলনে অংশ নিতে দেখা গেছে। তবে চলতি সপ্তাহেই চিকিৎসার কাজে যুক্তরাজ্যে যাবেন তিনি। সেখানে তার চোটের বর্তমান অবস্থা জানার পরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন ৩৪ বছর বয়সী এই ওপেনার।
এদিকে বিসিবির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন,‘তামিমের বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় তিনটি সম্ভাব্য সমাধান রয়েছে- ইঞ্জেকশন, রিহ্যাবিলিটেশন ও অপারেশন। তামিমের এমন চোট সারাতে অপারেশন লাগতে পারে, তবে সেটি হতে পারে ওই প্রক্রিয়ার সর্বশেষ সমাধান। কেননা এই মুহূর্তে কোনো সার্জারিতে গেলে তাকে কমপক্ষে চার মাসের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হবে।’
তিনি আরও বলছেন, ‘তবে এই মুহূর্তে তা সম্ভব কিনা সেটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, আগামী তিন মাসের মধ্যে আমাদের বড় দুটি টুর্নামেন্ট রয়েছে। আমরা চিকিৎসক কী পরামর্শ দেন তা জানার অপেক্ষায় আছি। অপারেশন ছাড়াও রিহ্যাবিলিটেশন এবং ইঞ্জেকশনের অপশনও আছে তামিমের হাতে।’