বিশ্বকাপে মাহমুদউল্লাহ

0
151

এশিয়া কাপে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বাদ পড়া ইস্যুটি এখন দেশের ক্রিকেট অঙ্গন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। অভিজ্ঞ এই মিডল-অর্ডার ব্যাটারকে ছাড়াই ছয় জাতির টুর্নামেন্ট এশিয়া কাপের জন্য দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এরপর থেকেই মূল আলোচনা-সমালোচনা। তবে অনেকের এও ধারণা, আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠেয় ওয়ানডে বিশ্বকাপেও উপেক্ষিতই থেকে যাবেন ‘সাইলেন্ট কিলার’।

টাইগার ভক্তদের ধারণা, নিজের শেষ ম্যাচটা খেলে ফেলেছেন তিনি। কারণ, এই আসরের জন্য স্ট্যান্ডবাই তালিকায় থাকা তিনজনসহ ২০ জনের দলেও নেই এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। তাই সীমিত ওভারের বিশ্বমঞ্চের ১৫ জনের স্কোয়াডে থাকার দৌড় থেকেও এক রকম ছিটকেই গিয়েছেন। তবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ভক্তদের জন্য হঠাৎ করেই আলোর ঝলকানি। গুঞ্জন উঠেছে, বিশ্বকাপের বিবেচনায় রিয়াদ থাকছেন।

আগামী ৫ অক্টোবর থেকে ওয়ানডে বিশ্বকাপ মাঠে গড়াতে যাচ্ছে। আর বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টের জন্য রিয়াদসহ আরও আটজন ক্রিকেটারকে প্রস্তুত রাখা হবে। জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনায় যে কারোরই ডাক পড়তে পারে। মূলত ব্যাকআপ ক্রিকেটার প্রস্তুত রাখার ভাবনা সাকিব-শান্তদের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের।

এ বিষয়ে গণমাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর ভাষ্য, ‘আটজন ক্রিকেটারের একটি তালিকা দেওয়া হবে। তারা ঢাকাতেই অনুশীলন করবে। বলতে পারেন, তাদের নিয়ে আলাদা একটি অনুশীলন শিবিরই হবে।’

ব্যাকআপ দল নিয়ে প্রধান নির্বাচকের মন্তব্য, ‘বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে তাদেরও অনুশীলন চলতে থাকবে। কেউ চোটে পড়লে যাতে বিকল্প তৈরি থাকে, সে জন্যই। এই পর্বের রুটিনও কোচ দেবেন, কদিন চলবে বা কীভাবে ওদের অনুশীলন হবে, দু-এক দিনের মধ্যেই টিম ম্যানেজমেন্ট তাদের পরিকল্পনা জানাবে।’

এদিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে এত আলোচনা হওয়ার মতো নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিসিবি পরিচালক তানভীর আহমেদ টিটু।

গতকাল শুক্রবার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিসিবির এই পরিচালক জানান, ‘ইতোমধ্যে রিয়াদের ব্যাপারে আমাদের চিফ সিলেক্টর বলেছেন। ক্রিকেট বোর্ড নিজেদের মতো কাজ করে, প্লেয়ারদের তৈরি করা থেকে শুরু করে তাদের খেলানো। জিরো লেভেল গ্রাউন্ড থেকে একদম টপ লেভেল পর্যন্ত যেভাবে একটা প্রসেসের মধ্যে চলে একটা বোর্ড, সে প্রসেসের ওপরই কিন্তু সব কিছু নির্ধারণ করা হয়। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ক্ষেত্রে যা হয়েছে, এটা আসলে ওভাবে আলোচনায় আসার মতো কোনো বিষয় নয়। আমার কাছে মনে হয়, যার শুরু আছে তার একটা সময় শেষও আছে।’

তানভীর আহমেদ টিটু বলেন, ‘প্রত্যেক প্লেয়ারই একটা সময় ন্যাশনাল টিমে অন্তর্ভুক্ত হয়, আবার একটা সময় দল থেকে বাদ পড়ে। এটা একটা প্রসেসের মধ্য দিয়ে চলে। এটিও সে রকমই একটা অংশ। টিম ম্যানেজমেন্ট যদি মনে করে বিশ্বকাপে একটা ব্যাকআপ প্লেয়ার দরকার; কেউ ইনজুরড হলে তার স্থলাভিষিক্ত করার জন্য যদি সেখানে রিয়াদকে রাখা দরকার, তখন হয়তো অবশ্যই রাখবে।’

বিসিবির এই পরিচালক আরও বলেন, ‘ক্রিকেট বোর্ডের যে নিয়ম আছে, তারা সে নিয়মেই চলবে। বড় একটা সময় মাহমুদউল্লাহ দলে ছিলেন, আমাদের ক্রিকেটে তার অনেক অবদান। তবে এর আগে তিনিও নিশ্চয়ই কারও স্থলাভিষিক্ত হয়ে জাতীয় দলে এসেছেন। একইভাবে তাকেও স্বাভাবিকভাবেই বাদ পড়তে হবে। এতে খারাপ লাগবে, এরপর আবারও দলে ফেরানোর দাবি তোলাটা দর্শকদের আবেগের ব্যাপার। এটি অতীতেও ঘটে আসছে।’

Facebook Comments Box
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here