রোজার আগেই চড়া খেজুর ও ছোলার দর

0
90

রোজার আগে আবারও উত্তাপ ছড়াচ্ছে খেজুর আর ছোলার দাম। গেল বছরের তুলনায় ছোলার দর বেড়েছে কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা। আর খেজুরের ক্ষেত্রে মূল্য বৃদ্ধি ৫০ টাকায় ঠেকেছে। গুটিকয়েক ব্যবসায়ীকে ইমপোর্টের অনুমতি দেয়ায় এই দাম বৃদ্ধি বলে দাবি আমদানিকারকদের।

তবে ফল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সরবরাহ ভালো থাকলেও চড়া দামে আমদানি করায় বাড়তি মূল্যে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। বাহারি জাতের খেজুরের আবাদ হয় মধ্যপ্রাচ্যে। তবে ভোক্তা বিবেচনায় ব্যবসায়ীরা পসরা বসিয়েছেন বাংলাদেশেও। এখানে সারা বছর ১ লাখ টন চাহিদা রয়েছে। তবে শুধু রমজানেই প্রয়োজন হয় ৪০ হাজার টন।
মুসলিমদের সিয়াম সাধনার মাসে রোজাদারদের খাদ্যতালিকায় থাকে ছোলাও। যার বাৎসরিক চাহিদার প্রায় অর্ধেক লাগে এই মাসেই।

ইফতারে খেজুর আর ছোলা সরবরাহ করে ব্যবসায়ীরা খান লাভের গুড়। তবে আমদানি নির্ভর পণ্য দুটির দামের উত্তাপ ছড়াচ্ছে রোজার আগেই। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, গেল বছরের তুলনায় ছোলার দাম বেড়েছে কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা। আর খেুজরের ৫০ টাকা।

এক বিক্রেতা বলেন, এখন প্রতি কেজি খোলা খেজুর বিক্রি করছি ২০০ টাকায়। ২০২৩ সালে তা ছিল ১৪০ টাকা। আরেক বিক্রেতা বলেন, বর্তমানে কেজিপ্রতি ছোলা বেচছি ১১০ টাকায়। গত বছর তা ছিল ৭০ টাকা।

বছর না ঘুরতেই দামের উলম্ফগতির জন্য দায়ী আমদানিকারকদের সিন্ডিকেট। গুটিকয়েক ব্যবসায়ীকে ইমপোর্টের অনুমতি দেয়ায় এই দাম বৃদ্ধি বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। ছোলা আমদানিকারক মো. সেলিম হোসেন বলেন, ব্যাংক আমাদের সময়মতো এলসি দিচ্ছে না। ফলে পণ্য দুটি আমদানি করতে সমস্যা হচ্ছে। আমি মনে করি, সবাইকে আমদানির অনুমতি দিলে দাম কমবে।

ফল ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদার তুলনায় খেজুরের সরবরাহ অনেক বেশি। তবে চড়া দামে আমদানি করায় বিক্রিও হচ্ছে বাড়তি মূল্যে। ঢাকা মহানগর ফল আমদানি-রপ্তানিকারক ও আড়ৎদার ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুল করিম বলেন, এখন মার্কিন ডলারে দাম বেশি। ইতোমধ্যে আমদানি শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। এ দুটিকে সমন্বয় করতে গিয়ে খেজুরের দর চড়া হচ্ছে।

দেশে প্রতিবছর খেজুর ও ছোলার মোট আমদানি প্রায় ৩ লাখ।

Facebook Comments Box
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here