শৈত্যপ্রবাহে স্কুল বন্ধে সমন্বয়হীনতা!

0
105

টানা শৈত্যপ্রবাহ ও তীব্র শীতে স্কুল বন্ধে সরকারি নির্দেশনায় সমন্বয়হীনতার অভিযোগ উঠেছে। শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেলেও অনেক ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ে এসে বন্ধের বিসয়ে জানতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। আবার অনেক জেলায় মানা হচ্ছে না সরকারি নিয়ম। এতে ক্ষোভ জানিয়েছেন অভিভাবকরা। অপরদিকে বিষয়টিকে চরম অব্যবস্থাপনা বলছেন শিক্ষাবিদরা।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে রংপুর প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের উপ-পরিচালক মুজাহিদুল ইসলাম সময় সংবাদকে বলেন, উত্তরবঙ্গে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নমে যাচ্ছে। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক পাঠদান কর্মসূচি বন্ধ করা আছে।

তবে এইদিন সকাল ৯টায় তীব্র শীত উপেক্ষা করে ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষার্থীদের আসতে দেখা যায়। অথচ সকালে এই জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্কুল বন্ধ থাকার কথা থাকলেও জেলাটির ৯৯৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৩৯৩টি মাধ্যমিক স্কুল খোলা ছিল। এতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানান শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা

অভিভাবকরা জানান, প্রচণ্ড শীতে অভিভাবকদেরও আসতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। সেখানে বাচ্চাদের জন্য খুবই অসুবিধা। বাচ্চারা অসুস্থ হলে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। এই নিয়ে অভিভাবকদের দুশ্চিন্তায় পড়তে হয়। শিক্ষার্থীরা জানায়, মোটা গরম কাপড় পরেও ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। এই শীতে স্কুল বন্ধ দিলে ভালো হতো।
রংপুর বিভাগের অনেক জেলার তাপমাত্রা ১০ এর নিচে থাকলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন খোলা, সেই প্রশ্নের জবাবে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান জানান, নোটিশ না পেলে পাঠদান বন্ধের কোন সুযোগ নেই।

রংপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌসি আশরাফী বলেন, রংপুরে স্কুল বন্ধে এখনো নির্দেশ না আসেনি। আমরা নির্দেশনার বাইরে কাজ করতে পারি না।
রংপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিবো।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, এমন দুর্যোগে শিক্ষা অধিদফতর যে ধরনের সিদ্ধান্তে এগুচ্ছে এটি চরম সমন্বয়হীনতা। শহরকে দিয়ে শুধু বিচার করলে হয় না। গ্রামে, বিশেষ করে নদীর তীরে যে হাঁড় কাঁপানো ঠান্ডা, সেই জনজীবনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক আগে থেকে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বিদ্যালয়ের প্রধানদের পৌঁছে দেয়া উচিৎ ছিল।

Facebook Comments Box
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here