চালু হবার একদিন পরই সোনাপুর-চেয়ারম্যানঘাট সড়কে বন্ধ করে দেয়া হলো বিআরটিসি বাস সার্ভিস। স্থানীয়দের অভিযোগ প্রভাবশালীদের রমরমা পরিবহন ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে এটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সুবর্ণচর এবং হাতিয়ার দশ লক্ষ মানুষের জন্য শহরমুখী একমাত্র সড়ক এটি। এক সময় প্রতি পনের মিনিট পর পর বাস ছাড়তো। সকল শ্রেণির মানুষ নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতো।
এক পর্যায়ে রাজনীতিবিদরা সিএনজি ব্যবসা শুরু করেন। কমতে শুরু করে বাসের সংখ্যা। দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল বাস সার্ভিস। সেটি চালু হলো বছর দুয়েক আগে। কিন্তু আগের মত আর নেই। এক ঘণ্টা পর পর ছাড়ে। মানুষ বাধ্য হয়ে সিএনজিতে চড়তে শুরু করে। কিন্তু সমস্যা হয়ে যায় ছাত্র-ছাত্রী আর গরীব-দুঃখী মানুষের। তারা যে পথ বাসে যেত চল্লিশ টাকায়, সে পথ সিএনজিতে যেতে হয় আশি টাকায়। সিএনজি সিন্ডিকেট ইচ্ছেমত ভাড়া রাখে। তারা সংঘবদ্ধও। যাত্রীরা বিচ্ছিন্ন। তাই তাদের সিন্ডিকেটের কাছে সাধারণ মানুষ জিম্মি।
সম্প্রতি মানুষের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত দুদিন আগে জেলাপ্রশাসক মহোদয় উক্ত রুটে উদ্বোধন ঘোষণা করেন বিআরটিসি বাস সার্ভিস। একদিন চলেই কোনো এক অজ্ঞাত কারণে সেটি বন্ধ হয়ে যায়। বুঝে আসে না, কার স্বার্থে, কার ইশারায় এটি বন্ধ হলো!
এই একই সমস্যা পুরো নোয়াখালীতে। রাজনীতিবিদরা সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে বলে বেশির ভাগ মানুষের অভিযোগ। প্রতি কি.মিতে জনপ্রতি ৩-৪ টাকা ভাড়া রাখে, যা কোনোভাবেই সেবামূলক পাবলিক সার্ভিসের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না । সে যাহোক, কোনো রুই-কাতলার স্বার্থে জনসাধারণের নিয়মিত বাহন যেন বন্ধ না হয়। সহজ যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে বিআরটিসি বাস চালুর জোর দাবি জানাই।
লেখক: সফিকুল সাজু, প্রভাষক, কবির হাট সরকারী কলেজ