কামাল চৌধুরী : বছরে সুবর্ণচরে ৫০ লক্ষ ৮ হাজার ৭শ ৪৩ মে.টন খাদ্যশস্য উদ্বৃত্ত থাকে। যা নোয়াখালীর অন্যান্য উপজেলাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন উপজেলায় সরবরাহ করা হয়।
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় রবি মৌসুমে ডাল ও তেল ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ, সার বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান সুবর্ণচর উপজেলা কৃষি অফিসার।
এবার রবি মৌসুমে উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নে ৭ হাজার ৮ শ ৫০ জন কৃষককে প্রণোদনা বীজ ও সার দেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও)আল আমিন সরকারের সভাপতিত্বে উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. কামাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় সোমবার সকালে সুবর্ণচর উপজেলা কৃষি অফিসারের কার্যালয় এ বীজ ও সার বিতরণের উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে প্রণোদনা বিতরণ বিষয়ে মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশিদ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এমএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন চৌধুরী বাহার, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মৌহিতুল ইসলাম,প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ও মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ ফয়জুর রহমান।
মূল প্রবন্ধে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশিদ জানান যে, সুবর্ণচর উপজেলা একটি খাদ্য উদ্বৃত্ত উপজেলা। বছরে এই উপজেলায় ৫০ লক্ষ ৮ হাজর ৭শ ৪৩ মে.টন খাদ্যশস্য উদ্বৃত্ত থাকে। যা নোয়াখালীর অন্যান্য উপজেলাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন উপজেলায় সরবরাহ করা হয়। চলতি রবি ২০২৩-২৪ মৌসুমের জন্য সুবর্ণচর উপজেলায় ৭ হাজার ৮শ ৫০ জন কৃষকের প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় গম, সরিষা, সূর্যমুখী, মসুর, খেসারি, ভূট্টা, সয়াবিন ও শীতকালীন মূগ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করা হবে। এই বছর গম ফসলের জন্য ১শ জন, ভূট্টা ২শ জন, সরিষা ৩হাজার জন, সূর্যমুখী ১হাজার ৪০০ জন, চিনাবাদাম ৮শ৫০ জন, সয়াবিন ৮শ জন, মসুর ৫০ জন, খেসারি ৪শ ৫০ ও মূগ ১হাজার জন কৃষক বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার সহযোগিতা পাবেন।