সুবর্ণচরে স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি, অভিযুক্ত শিক্ষক বরখাস্ত

0
198

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চর আক্রাম উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. ওমর ফারুককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।

সোমবার (২১ আগস্ট) বিকেলে নোয়াখালী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে অভিযুক্ত শিক্ষক মো. ওমর ফারুককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুরে নিশ্চিত করেছেন সুবর্ণচর উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবু জাহের। তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অভিযুক্ত শিক্ষক মো. ওমর ফারুক (৪৫) মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের আক্তার মিয়ার হাট এলাকার বাসিন্দা ও চর আক্রাম উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত এবং শ্লীলতাহানির স্বীকার ছাত্রী একই বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী।

জানা যায়, গত মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান শেষে বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষ ঝাড়ু দেওয়ার সময় সহকারী শিক্ষক মো. ওমর ফারুক(৪৫) তৃতীয় শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে জড়িয়ে ধরে তার স্পর্শকাতর অঙ্গে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। শিক্ষার্থী চিৎকার করলে তাকে ছেড়ে দিয়ে দ্রুত স্কুল ত্যাগ করেন শিক্ষক মো. ওমর ফারুক। পরে ঘটনা জানতে পেরে নির্যাতিতা ছাত্রীর মা বিষয়টি স্কুলের প্রধান শিক্ষক নুরুল আলম ও অন্যান্য শিক্ষকের উপস্থিতিতে মৌখিক ভাবে জানিয়ে এর বিচার দাবী করেন।

ছাত্রীর বাবা বলেন, আমার মেয়ের সাথে জগন্য অন্যায় করা হয়েছে আমরা ঐ লম্পট শিক্ষকের উপযুক্ত বিচার চাই। উক্ত ঘটনার পর আমার মেয়ে লোকলজ্জার ভয়ে স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে।

ছাত্রীর মা বলেন, ওই লম্পট শিক্ষক আমার মেয়ের বিভিন্ন সম্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় এবং তাকে ধর্ষণ চেষ্টা করে পরে আমি বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষকদের বিষয়টি জানিয়েছি। তারা উপযুক্ত বিচার করবে বলেছেন। একটি মহল বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে আমাদেকের হুমকি ধমকি প্রদান করে যাচ্ছে। কোনো কিছুতেই আমরা পিছ পা হবোনা। আমার মেয়ের সাথে যা ঘটেছে তার উপযুক্ত বিচার চাই।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আলম বলেন, বিদ্যালয়ের নীতি পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় ও বিদ্যালয়ের নিয়ম-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় শিক্ষক মো. ওমর ফারুকর বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেছি। সে প্রেক্ষিতে উক্ত শিক্ষককে সময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে শিক্ষক মো. ওমর ফারুকের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দেওয়া হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এদিকে মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সকালে এ ঘটনার প্রতিবাদে অভিযুক্ত শিক্ষক ওমর ফারুককে গ্রেপ্তার করে কঠিন শাস্তির দাবি করেছেন সচেতন অভিভাবক ও এলাকাবাসী।

Facebook Comments Box
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here