হাই প্রেশার কমানোর সহজ ৫ উপায়

0
75

বিশ্বজুড়ে উচ্চ রক্তচাপ বা হাই প্রেশার একটি নীরব ঘাতক হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশেও বিপুলসংখ্যক মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। এসব রোগীরা যেকোনো সময়ই প্রেশার বেড়ে যাওয়ার সমস্যায় ভোগেন। তাই জটিল পরিস্থিতিতে দ্রুত হাই প্রেশার কমানোর কিছু নিয়ম জেনে রাখা সকলেরই উচিত।

হাইপারটেনশন বা হাই প্রেশারকে বাংলায় উচ্চ রক্তচাপ বলা হয়। এটি একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা। এটি তখনই ঘটে যখন ধমনিতে রক্তের অত্যধিক চাপ পড়ে।

সমীক্ষা জানাচ্ছে, দেশে প্রতি পাঁচজনে অন্তত একজন উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। তবে ৫৯ শতাংশ রোগীই জানেন না যে তারা গুরুতর এ সমস্যায় আক্রান্ত।

চিকিৎসা শাস্ত্রে, স্বাভাবিক রক্তচাপ হলো ১২০/৮০ মিলিমিটার পারদ চাপ। তবে রক্তচাপ যখন এর বেশি যেমন ১৪০/৯০ মিলিমিটার পারদ চাপের বেশি হয়, তখন ওই অবস্থাকে উচ্চ রক্তচাপ বলা হয়। উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনকে অনেক সময় অনেকেই ‘প্রেশার’ হিসেবে অভিহিত করেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাই প্রেশার বা উচ্চ রক্তচাপে রোগীদের সব সময়ই সতর্ক থাকতে হবে। কেননা এ রোগটিই অন্যান্য শারীরিক নানা জটিলতা তৈরির কারণ। রক্তনালীর সমস্যা তৈরি করার পাশাপাশি স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের কারণও এই উচ্চ রক্তচাপ।

অথচ হাই প্রেশার বা উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা প্রায়ই খাওয়ার সময় বেমালুম ভুলে যান নিজেদের শারীরিক অসুস্থতার কথা। যার কারণে হাই প্রেশারের রোগীদের বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রেসার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তাই আসুন জেনে নিই হঠাৎ প্রেশার আরও বেড়ে গেলে দ্রুত তা নিয়ন্ত্রণের জন্য তাৎক্ষণিক করণীয় সম্পর্কে।

১. হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে গেলে শারীরিক চলাচল কমিয়ে দিন। কেননা, এতে রক্তের চাপ আরও বেড়ে যায়।
২. রক্তের চাপ কমাতে খেতে পারেন তেঁতুলের রস। তেঁতুলের রসের পরিবর্তে খেতে পারেন লেবুর পানি।
৩. আপনার খাদ্যতালিকায় আদা রাখুন। আদা একটি সুপারফুড। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে ও পেশি শিথিল করে।
৪. রক্তচাপ বেড়ে গেলে প্রক্রিয়াজাত ও তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। সেই সঙ্গে চর্বিযুক্ত খাবার, খাবারে লবণ, ধূমপান, উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ে এমন খাবারও এড়িয়ে চলুন।
৫. এ সময় চিনি, তেল, ঘি, মাখন ও রেডমিট একেবারেই খাওয়া যাবে না।

Facebook Comments Box
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here