আরিফুর রহমান।।
ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে নোয়াখালীর উপকূলীয় উপজেলা সুবর্ণচরে বসত ঘরের উপর গাছ পড়ে সানজিদ আফ্রিদি আদি(১) নামে একটি শিশু মারা গেছে। এসময় শিশুটির মা সানজিদা খানম স্মৃতি গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঝড়ের প্রবল আঘাতে ৫৪টি বসতঘর ও ৭০টি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সোমবার (২৪ অক্টোবর )রাত সাড়ে ৮টার দিকে সিত্রাং এর প্রভাবে ঝড়োবৃষ্টি শুরু হলে পূর্বচরবাটা ইউনিয়নের পূর্বচরবাটা গ্রামে এ্যাড.আব্দুল্লাহ এর বাড়িতে বসতঘরের উপর গাছ পড়ে তাদের চাপা দিলে এঘটনা ঘটে।
নিহত সানজিদ আফ্রিদি আদি পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নের পূর্ব চরবাটা গ্রামের এ্যাড.মো.আবদুল্লা এর ছেলে।
নিহত আফ্রিদির পিতা এ্যাড. আব্দুল্লাহ জানায়, ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়। এসময় আমার শিশু পুত্র আফ্রিদিকে কোলে নিয়ে রাতে ভাত খাচ্ছিলেন আমার স্ত্রী সানজিদা খানম। প্রচণ্ড ঝড়ে বসতঘরের পাশের একটি গাছ ঘরের উপরে ধ্বসে পড়ে। এতে মুহুর্তেই চাপা পড়ে মা ও শিশু। বাড়ির অন্য ঘরের লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে হাসাপাতালে নিলে আফ্রিদিকে মৃত ঘোষনা করে। গুরুতর আহত অবস্থায় আমার স্ত্রী সানজিদা খানম কে হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তার অবস্থাও সংকটাপন্ন।
সিত্রাং এর ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার চৈতী সর্ববিদ্যা জানান, ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রচণ্ড ঝড়ে বসতঘরের উপর গাছে পড়ে চাপায় ১শিশু নিহত হয়েছে ও একজন আহত হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ৫৪টি বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ১১৪টি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও গাছগাছালি ও ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশিদ জানান, ৩৮ হাজার ৭১০ হেক্টর আমন আবাদের মধ্যে ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে ৮৯৫ হেক্টর ধান শুয়ে গেছে।২৮৫০ হেক্টর সবজি আবাদের মধ্যে ১৪৫ হেক্টর নষ্ট হয়েছে।
সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চৈতী সর্ববিদ্যা ও চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি দেব প্রিয় দাশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এবং ইউএনও শিশু সানজিদের পারিবারকে ২৫ হাজার টাকা সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন।
জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, এটি খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। শিশুটির মায়ের চিকিৎসাসহ যাবতীয় ব্যবস্থার দায়িত্ব আমি নেব।