জাতীয় দল আমার ভালোবাসা: রোনালদো

0
41

কাতার বিশ্বকাপের পর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর আন্তর্জতিক ক্যারিয়ারের শেষ দেখে ফেলেছিল অনেকেই। সৌদি লিগে নাম লেখানো রোনালদোর ওপর অবশ্য আস্থা রেখেছিলেন পর্তুগালের নতুন কোচ রবার্তো মার্টিনেজ। আর সেই আস্থার প্রতিদান দিচ্ছেনও ৩৯ বছর বয়সী পর্তুগিজ মহাতারকা। রেকর্ড ষষ্ঠবারের মতো ইউরো টুর্নামেন্টে খেলার অপেক্ষায় থাকা রোনালদো আছেনও তুখোড় ফর্মে।

সমবয়সী খেলোয়াড়রা যখন বিভিন দলের হয়ে কোচিং ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করছেন, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো প্রস্তুতি নিচ্ছেন ষষ্ঠবারের মতো ইউরোয় খেলার। তারকায় ঠাঁসা পর্তুগাল দলে এখনও সবচেয়ে বড় ভরসার নাম রোনালদোই। এই মহাতারকাও নিজের সর্বস্ব ঢেলে দিয়ে ক্যারিয়ারের সম্ভাব্য শেষ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টটাকে রাঙাতে প্রস্তুত।

জাতীয় দলকে ‘জীবনের ভালোবাসা’ হিসেবে আখ্যায়িত করছেন রোনালদো। এই ৩৯ বছর বয়সেও সর্বোচ্চ পর্যায়ের ফুটবল খেলার সুযোগকে ‘উপহার’ হিসেবেই দেখছেন ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই খেলোয়াড়।

ইউরোর প্রস্তুতিটা দারুণভাবে শেষ করেছেন রোনালদো ও পর্তুগাল দল। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ প্রীতি ম্যাচে ৩-০ গোলে জিতেছে পর্তুগাল। সেখানে জোড়া গোল করে জয়ের নায়ক রোনালদোই। আর তাতে রোনালদোর আন্তর্জাতিক গোলের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩০টি। বয়স ৩০ পূর্ণ হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৭৮টি গোল করেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে এর চেয়ে বেশি গোলই আছে মাত্র ১০জন ফুটবলারের!

রোনলাদো মনে করেন, তার ফুটবল ক্যারিয়ারের আর বেশিদিন বাকি নেই। এতো বছর ধরে খেলতে পারাটা তার জীবনে পাওয়া একটা বিশেষ উপহার। রোনালদোর ভাষায়, ‘আমি জানি, ফুটবল ছাড়তে আমার আর বেশিদিন নেই। বয়স ৩৫ হয়ে যাওয়ার পরও বছরের পর বছর খেলতে পারাটা একটা উপহার। আমার এখন ৩৯ এবং প্রত্যেকটা বছর এখন উপভোগের (নিজের খেলা)। জাতীয় দলের জন্য গোল করাটা বিশেষ অনুভূতির। জাতীয় দল আমার জীবনের ভালোবাসা, ইউরো জিততে পারলে একটা স্বপ্ন পূরণ হবে।’

২০০৩ সাল থেকে পর্তুগালের জার্সি গায়ে খেলে যাচ্ছেন রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক এই মহাতারকা। তার নেতৃত্বেই ২০১৬ সালে ইউরো জয় করে পর্তুগাল, যা দেশটির ইতিহাসে প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক শিরোপা।

জাতীয় দলে খেলা নিয়ে রোনালদো বলেন, ‘আমার জন্য জাতীয় দলে খেলাটা আবেগের, ভালোবাসার। যে কোনো খেলাই (জাতীয় দল) স্পেশাল, ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ স্পেশাল, এটা আমার ষষ্ঠ, যেটি একটা রেকর্ডও বটে!’

রোনালদো যোগ করেন, ‘২০০৪ সালে খেলার মধ্য দিয়ে আমার অভিষেক (ইউরোতে), সেখান থেকে আজকে পর্যন্ত খেলাটা সবসময় গর্বের ও আবেগের। এর চেয়ে ভালো কিছু হতে পারে না।

সদ্য শেষ হওয়া মৌসুমে দলকে কোনো শিরোপা জেতাতে না পারলেও সৌদি লিগে সর্বোচ্চ গোলের নতুন রেকর্ড গড়েছেন রোনালদো। এরপর ইউরোর প্রস্তুতি ক্যাম্পে পর্তুগাল দলের সঙ্গে যোগ দেন। প্রথম দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে তাকে বসিয়ে রাখলেও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একাদশে সুযোগ পান রোনালদো। আর সুযোগ পেয়েই জোড়া গোল করে জানান দিলেন, তিনি প্রস্তুত।

ইউরোতে নিজের সেরাটা দিতে প্রস্তুত জানিয়ে রোনালদো বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, আমি শারীরিক ও মানসিকভাবে ভালো অবস্থায় আছি। আমি প্রস্তুত, আমি সবসময় সেরা প্রস্তুতিটা নিয়ে থাকি, আমি শতভাগ পেশাদার। আমি প্রস্তুত বরাবরের মতো আমার দেশকে সাহায্য করার জন্য (ইউরোতে) এবং কোচের সিদ্ধান্ত মান্য করতে।’

Facebook Comments Box
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here