জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অসদুপায় অবলম্বন করে শ্রুতলেখক পরিবর্তনের মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ায় পাঁচ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র ও পরীক্ষার রোল নম্বর বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে পরীক্ষা দিতে এসে অশোভনীয় আচরণের অভিযোগে আরেক পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র ও রোল নম্বর বাতিল করেছে প্রশাসন। এ ছাড়া একজন শ্রুতলেখককে ভ্রাম্যমাণ আদালতের শাস্তি অনুযায়ী গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল রোববার কলা ও মানবিকী অনুষদে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার সময় এসব ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তার ওই শ্রুতলেখকের নাম সাগর হোসেন। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা সাগর ঢাকার একটি কলেজে ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। আশুলিয়া সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুর রহমান তাঁকে পাবলিক পরীক্ষা আইনে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও দুই শ টাকা জরিমানা করেছেন। এরপর আশুলিয়া থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। বাকি চারজন শ্রুতলেখককে শনাক্ত করা যায়নি।
ভর্তি পরীক্ষার উত্তরপত্র ও রোল নম্বর বাতিল করা পরীক্ষার্থীরা হলেন সাজিদ হাসান, মো. দেলোয়ার হোসেন, রাজু আহমেদ, মো. টুটুল হাসান, মো. মেহেদী হাসান ও আওয়াল হোসেন আরাফাত। পরবর্তী সময় অনুষ্ঠিতব্য অন্যান্য ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা থেকেও এই ছয়জনের রোল নম্বর বাতিল করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখা সূত্রে জানা গেছে, উত্তরপত্র বাতিল করা পরীক্ষার্থীদের মধ্যে সাজিদ হাসান পরীক্ষার আগে কেন্দ্রের শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা এক রোভার স্কাউট সদস্যের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। বাকি পাঁচ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে শ্রুতলেখক সম্পর্কে ভুল তথ্য দিয়ে এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত শ্রুতলেখক পরিবর্তন করে অন্য শ্রুতলেখক নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, ‘আমরা যাঁদের বিরুদ্ধে শ্রুতলেখক পরিবর্তন করে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অভিযোগ পেয়েছি, তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী শাস্তি দিয়েছি। যাঁরা এই চক্রের সঙ্গে জড়িত, তাঁদের খুঁজে বের করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী এর সঙ্গে জড়িত থাকলে তাঁর বিরুদ্ধেও নিয়ম মোতাবেক পদক্ষেপ নেব।’