নারীর ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হলে কী হয়?

0
109

নারী জীবনভরই নিজেকে অবহেলা করে। খাওয়া-দাওয়া সঠিক সময়ে করে না। তাইতো বয়স ৩০ যেতে না যেতেই নানারকম রোগ এসে তাড়া করে। মানুষের শরীর মূলত পেশির ওপর ভর করে দাঁড়িয়ে থাকে। আর এই পেশির সুরক্ষা নিশ্চিত করে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার। তাই নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভিটামিন ডি-র দিকে নজর দিতে হবে।

ভিটামিন ডি-র ঘাটতি পূরণে সবচেয়ে সহজ আর দ্রুত কাজ করে সূর্যস্নান। নিয়মিত বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে ১৫ মিনিট সূর্যস্নান করা গেলে শরীরের ৭০ ভাগ ভিটামিন ডি-এর চাহিদাই পূরণ হয়ে যায়।

নারীর ভিটামিন ডি-এর প্রভাব-

১. একজন নারীর প্রজনন ক্ষমতা কমে যায় ভিটামিন ডি-এর অভাবে।

২. ভিটামিন ডি কম থাকা অবস্থায় সন্তান জন্ম দিলেও সন্তানের নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। হতে পারে খর্বাকৃতি। তাছাড়া ক্যালসিয়ামের ঘাটতি, খিঁচুনিসহ নানা রকম অসুস্থতা নিয়ে সন্তান পৃথিবীর আলো দেখতে পারে। তাই সন্তান ধারণের আগেই ভিটামিন ডি পরীক্ষা করে নিন। কম থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৩. কিছু কিছু রোগকে বাড়িয়ে দেয় ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি। এমন আছে যেসব রোগে শরীরের রোগ প্রতিরোধক কোষ ধ্বংস করতে থাকে; নিজস্ব কোষকে যেমন রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, মাল্টিপলস ক্লেরোসিস। এ ব্যাধিগুলোকে বলা হয় অটো ইমিউন ব্যাধি। ভিটামিন ডি-এর অভাবে এই রোগগুলো বেশি হয়ে থাকে।
৪. যেসব নারী স্তন, জরায়ু, যোনি এবং বৃহদান্ত্রের ক্যান্সারে আক্রান্ত তাদের অধিকাংশই ভিটামিন ডি-এর ঘাটতির শিকার।
৫. এই ভিটামিনের ঘাটতিতে স্থূলতা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, বন্ধ্যত্ব সম্মিলিতভাবে অবস্থান করতে পারে। এ অবস্থায় ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমে যায়, ক্ষেত্রবিশেষ হরমোন জটিলতায় নারী দেহে আসতে থাকে অবাঞ্ছিত লোম। এ রোগের সঙ্গে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি যোগসূত্রতা খুঁজে পেয়েছেন বর্তমান সময়ের গবেষকরাও।

ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার

১. ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে প্রথমেই যে খাবারটির কথা বলা যায় সেটি হলো ডিম। এটি ভিটামিন ডি-র একটি উৎকৃষ্ট উৎস।
২. দুধে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে। খাবারের ছয়টি উপাদানের পাশাপাশি গরুর দুধে রয়েছে ক্যালসিয়াম।
৩. সহজে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি পূরণে ডায়েটে রাখতে পারেন দইও। পেটের সুরক্ষায় আর গরম থেকে স্বস্তি পেতে নিয়মিত দই খাওয়া উচিত।
৪. ভিটামিন ডি-র জন্য প্রতিদিন একটি কমলাও খেতে পারেন। এতে একই সঙ্গে ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন সি পাওয়া যায়।
৫. অতি বেগুনি রশ্মিতে রাখলে মাশরুম ভিটামিন ডি তৈরি করে। এটি একমাত্র অপ্রাণিজ খাদ্য যেখান থেকে যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন ডি মেলে।

৬. ফ্যাটি ফিশ যেমন: টুনা, ম্যাকরেল, স্যালমন সামুদ্রিক জাতীয় মাছ খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে।
৭. কড লিভার অয়েল বা মাছের তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি, ওমেগা থ্রি এবং ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ভিটামিন ডি-র ঘাটতি পূরণ করার সঙ্গে সঙ্গে সুস্থ রাখে আপনার হার্টকেও।

Facebook Comments Box
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here